Tuesday, January 10, 2017

বিজ্ঞান এর কিছু মজার তথ্য.



খরগোশ ও টিয়াপাখি দুটোই খুব সুন্দর প্রাণী। অনেকেই এগুলো বাসায় পোষে। তবে বাসায় থাকা খরগোশ বা টিয়াকে পেছন থেকে চুপি চুপি এসে চমকে দেওয়ার চেষ্টা বৃথা। কারণ এই দুটি প্রাণী মাথা না ঘুরিয়েও পিছনে কী ঘটছে দেখতে পায়।
.

কোনো খাবারের স্বাদ জানতে আমরা জিহ্বা ব্যবহার করি। চিন্তা করো তো প্রায় সব প্রাণীরই তো জিহ্বা আছে, তাই না। আচ্ছা হাত বা পা দিয়ে কখনো খাবারের স্বাদ জানা যায়! অবিশ্বাস্য মনে হলেও প্রজাপতি এই কাজটিই করে। প্রজাপতি কোনো খাবারের ওপর বসে পা দিয়ে এর স্বাদ নেয়। কারণ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে স্বাদ গ্রহণের গ্রন্থি থাকে জিহ্বায়। কিন্তু প্রজাপতির ক্ষেত্রে এই গ্রন্থি থাকে পায়ে।
.

প্রায় প্রতিদিনই তো বাসায় ঘর ঝাড়ু দেওয়া হয়। খেয়াল করে দেখো এর মধ্যে ধুলার মতো ময়লা থাকে। আর এই ময়লার মধ্যে তোমার শরীরের ত্বকের কোষও আছে। মজার বিষয় হলো, আমাদের বাড়িঘরের ধুলোর মতো গুঁড়ো ময়লার অধিকাংশই আমাদের শরীর থেকে ঝরে যাওয়া মৃত ত্বক কোষ।
.

আদিকালে পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়াত ডাইনোসরসহ বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী প্রজাতি। বৃহদাকৃতির ডাইনোসরের একটি প্রজাতি ছিল স্টেগোসাউরাস। প্রায় নয় মিটার লম্বা দাবনাকৃতির এই ডাইনোসর প্রজাতির মস্তিষ্ক ছিল কাঠবাদামের সমান।
.

খাটো বলে মন খারাপ। লম্বা হওয়ার এক বুদ্ধি বাতলে দিতে পারি। মহাকাশচারী হও, এতে একটু হলেও লম্বা হতে পারবে। বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি, মহাকাশে কিছুদিন টানা থাকলে উচ্চতা কিছুটা বাড়ে। মহাকাশে অভিকর্ষণ বল না থাকায় মানুষের শরীরের ওপর নিচের দিকে টান থাকে না। এ কারণে মানুষের উচ্চতা বাড়ে।
.

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রাণী ক্যাঙ্গারু আর ইমু পাখি। লাফিয়ে লাফিয়ে চলা আর পকেটে বাচ্চা রাখার জন্য ক্যাঙ্গারু সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। আচ্ছা ক্যাঙ্গারুকে কখনো পেছনে হাঁটতে দেখেছো কেউ। উত্তর হবে ‘না’। পায়ের গঠনের কারণে ক্যাঙ্গারু ও ইমু পাখি পেছনে হাঁটতে পারে না বললেই চলে।
.

চিড়িয়াখানায় জলহস্তী দেখেছো। বিশালদেহী প্রাণীটির পা বেশ ছোট হলেও এটি মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে দৌড়াতে পারে। আর দেখতে নিরীহ হলেও জলিহস্তী কিন্তু হিংস্রতম প্রাণীর একটি।
.

কাঁটাঘড়ি দেখেছো। তিনটি কাঁটায় দেখায় সেকেন্ড, মিনিট আর ঘণ্টা। এই ঘড়িতে ব্যাটারি না থাকলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও কিন্তু দিন-রাত মিলে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দুবার সঠিক সময় দেখায়।
( আমার টা ও.. tongue emoticon )
.

মানুষ কখনোই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দিতে পারে না। হাঁচি এলে মানুষের চোখ আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যায়।
.
১০
ইংরেজি বলায় অনেকেই বেশ সাবলীল। এই ইংরেজি বাক্যটি দ্রুত বলার চেষ্টা করে দেখো তো— Sixth sick sheik’s sixth sheep’s sick. 

Friday, January 6, 2017

প্রশ্ন:-সর্বপ্রথম আয়করের জন্ম কোন দেশে?
উত্তর:-ব্রিটেন (১৭৯৮ সালে)।

প্রশ্ন:-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কবে গঠিত হয়?
উত্তর:-১৯৭২।

প্রশ্ন:-ফাংশনাল কর ব্যবস্থা ও বৃহৎ করদাতা ইউনিট গঠিত হয় কবে?
উত্তর:-২০০৪।

প্রশ্ন:-জাতীয় আয়কর দিবস প্রবর্তিত হয় কবে?
উত্তর:-২০০৮।

প্রশ্ন:-আয়কর মেলার প্রচলন হয় কবে?
উত্তর:-২০১০।

প্রশ্ন:-e-payment ও ADR ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় কবে?
উত্তর:-২০১২।

প্রশ্ন:-E-TIN ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় কবে?
উত্তর:-২০১৩।

প্রশ্ন:-আয়কর সপ্তাহ প্রবর্তন হয় কবে?
উত্তর:-২০১৬।

প্রশ্ন:-ট্যাক্স কার্ডের মেয়াদ কত সময়?
উত্তর:-১ বছর।
➊ বাংলাদেশের কোন চলচ্চিত্রে সর্বপ্রথম জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়?
-জীবন থেকে নেয়া

➋ 'ফরাসি বিপ্লবের শিশু' বলা হয় কাকে?
-নেপোলিয়ন

➌ গ্রিসের পূর্বনাম কি ছিল?
-হেলাস

➍ ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়?
-জাপানকে

➎ 'মুখ ও মুখোশ' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
-আবদুল জব্বার খান

➏ হিজবুল্লাহ শব্দের অর্থ কি?
-আল্লাহর দল

➐ দেশে প্রথম মুসলমান চলচ্চিত্রকার?
-কাজী নজরুল ইসলাম

➑ কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম কি?
-নজরুল

➒ বাংলা চলচ্চিত্রের কোন অভিনেত্রী 'ডক্টরেট' ডিগ্রি লাভ করেন?
-ববিতা

➓ উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক কাকে বলা হয়?
-হীরালাল সেন

ছোট্ট একটা পৃথিবী, ভালোবাসার চাষ ছাড়া বড্ড শ্বাসরুদকর

রোগী দেখছিলাম। এক দম্পতি এলেন সাথে তাদের ছ'বছর বয়সী ছানা। মহিলার কানে সমস্যা। পাশের টুলে বসিয়ে পরীক্ষা করছি। ডেস্কের উল্টোপাশে ভদ্রলোক তার ছেলেকে নিয়ে বসেছেন। পুচকা খানিক এদিক যেতে চায়, খানিক ওদিক যেতে চায়, খনেক এটা ধরতে চায়, তো আবার ঐটা করতে চায়।
ত্যক্ত হয়ে ভদ্রলোক বললেন,"এহ বাবা, দুষ্টু করে না, ডাক্তার আংকেল পিট্টি দেবে...পাছার মধ্যে ইঞ্জেকশান দিয়া দিবে...তখন বুঝবা..."
আমি চুপচাপ শুনে গেলাম। ভদ্রমহিলাকে দেখা শেষ করে ব্যবস্থাপত্র লিখে তা বুঝিয়ে দিয়ে তাদের দু'জনকে বললাম,"আপনাদের হাতে কিছু সময় হবে আমাকে দেবার?"
দু'জনেই বললেন, "অবশ্যই হবে....কি যে বলেন না ভাই..."
আমি বললাম,"আমার কাছে আগেও এসেছেন, আজও এলেন। এখন পর্যন্ত আমি না আপনাদের সাথে রূঢ় ব্যবহার করেছি, না আপনার বাচ্চার সাথে, না আপনাদের সামনে অন্য কারো সাথে....এমনকি আপনার সন্তান যখন আমার ডেস্কের যন্ত্রপাতির ট্রে ওলটপালট করলো আমি আমার মত গুছিয়ে নিলাম, আপনাদের কিছু বললামও না। অথচ আপনারা আপনাদের বাচ্চাকে ডাক্তার আংকেল পিটাবে, পাছায় ইঞ্জেকশান দেবে, বল্লু কাটি দিবে- আরো কতকি বলেন...কেন বলেন এসব?"
তারা নিশ্চুপ।
আমি বললাম," আমরা যখন আমাদের বাচ্চাদের অপরিচিত-অর্ধপরিচিত লোকজনের সাথে পরিচিত না করিয়ে এ ধরনের ভীতিসঞ্চার করি, তখন তাদের সুস্থ, সুন্দর, প্রাকৃতিক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তাদের কাছে অচেনা মানুষ মানেই খারাপ এমন ধারণা প্রতীয়মান হয়। এটা যে শুধু মানুষের ক্ষেত্রে হয় তা নয়। অনেককেই দেখবেন কুকুর, বেড়াল,পশুপাখি দেখলে ধাওয়া দেয়, ঢিল ছুঁড়ে, আঘাত করে, কষ্ট দিয়ে তাদের আর্তনাদ শুনে মজা নেয়। তার কারণ তারা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছে মানুষ ঠগবাজী করে, কুকুর কামড় দেয়, বিড়াল আচড় দেয়, মুরগী ঠোকর দেয়, গরু লাত্থি দেয়। তাই তাদের কষ্ট দিতে দোষ নেয়। এজন্য সমাজে হাসতে হাসতে মানুষের পায়ুপথে গ্যাস ঢুকিয়ে মেরে ফেলা, কুকুরের গায়ে গরম ভাতের মাড় ঢেলে দেওয়ার মত মানুষ বাড়ছে। চেষ্টা করবেন নতুন সবকিছুর সাথে আপনার শিশুকে একটা সুন্দর তথ্যসহ পরিচয় করিয়ে দিতে। তাতে আপনার শিশুর মনে ঝকঝকে এক রঙিন শৈশবের স্মৃতি সারাজীবন গেঁথে যাবে, সব মানুষকে তার আপন মনে হবে যার ফলে সবার ভালো করতে, সবার ভালো চাইতে তার আটকাবে না। যদি আপনার সন্তানের সামনে কেউ আপনার সাথে দূর্ব্যবহার করে, তাহলে বলবেন, দেখ বাবা, আংকেল আসলে খুবই ভালো, কিন্তু আজকে আংকেলের মন খারাপ, আমরা আংকেলের কাছে আরেকদিন আসব, এখন আংকেলকে একটা হাসি দাও তো....দেখবেন আপনার সন্তানের মিষ্টি হাসিতে, ছোট হাতের স্পর্শে দূর্ব্যবহারকারীর মনটা কিছুটা হলেও ভালো হবে..."
খানিক দম নিয়ে আবার বললাম, "অনেক কথা বলে ফেললাম, কারণ এমন ফেরেশতার মত একটা বাচ্চা আমার সামনে থেকে সুযোগ পাইলেই আমি তারে পাছায় ইঞ্জেকশান দিব এই ধারণা নিয়ে যাবে এটা কেন জানি মেনে নিতে পারছিলাম না...."

Wednesday, January 4, 2017

এশিয়া_মহাদেশ
......
প্রশ্ন: এশিয়ার আয়তন কত ?
-৩,১০,২৭,২৩০ বর্গ কি.মি.।
.
প্রশ্ন: এশিয়া আয়তন পৃথিবীর মোট ভূমির কত
অংশ ?
-৩০ % ।
.
প্রশ্ন: এশিয়া পৃথিবীর মোট আয়তনের কত ?
-প্রায় এক তৃতীয়াংশ ।
.
প্রশ্ন: এশিয়ার বৃহত্তম দীপ কোনটি ?
-বোর্নিও (৭,৪৬,৫৪৬ বর্গ কি.মি.) ।
.
প্রশ্ন: আয়তনের দিক দিয়ে এশিয়ার বৃহত্তম
দেশ কোনটি ?
-গণ চীন (৯৩,২৬,৪১০ বর্গ কি.মি.) ।
.
প্রশ্ন: আয়তনের দিক দিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে
ছোট দেশ কোনটি ?
-মালদ্বীপ (৩০০ বর্গ কি.মি.) ।
.
প্রশ্ন: লোক সংখ্যার দিক দিয়ে এশিয়ার
বৃহত্তম দেশ কোনটি ?
-গণচীন ।
.
প্রশ্ন: পৃথিবীর কত ভাগ মানুষ এশিয়ায় বাস
করে ?
-৬০.৬ ভাগ ।
.
প্রশ্ন: এশিয়ার বৃহত্তম নদী কোনটি ?
-ইয়াংসিকিয়াং (৫৪৯৪ কি.মি.) ।
.
প্রশ্ন: এশিয়ার সবচেয়ে খরস্রোতা নদী
কোনটি ?
-সালউইন ।
এক লোক ১৩ তলা বিল্ডিং- এ কাজ করতেছিল। এমন সময় একজন দৌড়ে এসে খবর দিল- জামাল, জামাল তোমার মেয়ে ফাতিমা মারা গেছে।

লোকটা চিৎকার করে উঠলো- না এ হতে পারে না। বলে ১৩ তলা থেকে লাফ দিলো।

যখন ১০ তলা পর্যন্ত আসলো তখন মনে পড়লো আরে আমার তো ফাতিমা নামে কোন মেয়ে নাই।

যখন ৫ তলা পর্যন্ত আসলো তখন মনে পড়লো আরে আমার তো বিয়েই হয় নাই।

যখন মাটিতে পড়বে তার আগ মূহূর্তে মনে পড়লো- শালা আমার নামই তো জামাল না!!
দেশে ফেরার কিছুদিন পর বাবা ও মা বললেন,"বিয়েটা এবার করে ফেলো!"
আমি বললাম,"তোমরা যা ভালো মনে করো,তাই করো!"
,
ব্যস, পরিবার থেকে মেয়ে দেখা শুরু হয়ে গেলো!  অবশেষে মেয়ে পেয়েও গেলো।
নম্র,ভদ্র,শিক্ষিত ও ভালো পরিবারের মেয়ে।
মোটামুটি দু পরিবার থেকে কথা পাকা পোক্ত হয়ে গেলো। তারপর আমাকে বলা হলো যে,আমি যেনো একদিন সময় করে দেখে আসি!
,
একদিন সময় করে কনের বাড়িতে হুট করেই আমি সহ কিছু বন্ধু বান্ধব চলে গেলাম। কনের মায়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর মেয়েটি (কনে) ওর বান্ধবি নিয়ে বাসায় ঢুকেই আমাদের দেখে ভেবাচেকা খেয়ে গেলো। যেহেতু মেয়ে আমাকে আগে দেখেনি। ক্ষীণ কালের জন্য আমি স্তব্ধ। স্তব্ধ এই জন্য যে মেয়েটি আসলেই রুপবতী। শুধু রুপবতী নয়,চেহারার মধ্যে আলাদা একটা মায়াটান রয়েছে যা আমাকে মুগ্ধ করে ফেলে।
মেয়েটি চলে গেলো। আমাদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারলো যে আমিই সেই ছেলে যার সাথে সে তার সারাটা জীবন কাটানোর জন্য অঙ্গীকার বদ্ধ হবে।
আমি বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফিরে এলুম।
আমার বন্ধুদেরও পছন্দ হয়েছে।
রাতে মেয়েকে ফোন দিলাম___
__হ্যালো (আমি)
__জি,কেমন আছেন?(মেয়ে)
__ভালোই,আপনি?
__জি ভালো।কি করেন?
__ভাবছি! :)
__কি ভাবছেন?
__আপনাকে ;)
__(উত্তর নেই)
__আচ্ছা,আমাকে কি আপনার পছন্দ হয়েছে? :(
__অপছন্দ হওয়ার কিছু আছে কি? :)
__তবুও :o
__বলতে পারবো নাহ! :/
__আচ্ছা বলতে হবে না! :/ কাল কি দেখা করা যাবে?
__জরুরি কিছু? O.o
__না,তবে আসলে....
__আচ্ছা আসবো। :)
,
আমি জায়গা বলে দিলাম! তারপর প্লান করলাম কি করা যায়!
পরেরদিন সে পার্কে এসে বসে রয়েছে। আমি ইচ্ছে করেই দেরী করে আসলাম।
আমাকে দেখে সে উঠে দাঁড়ালো! সে কিছু বলার আগেই, আমি হাটু গেড়ে বসে; ফুল হাতে নিয়ে বললাম," I Love You,Will you merry me and trust me for whole life? Promise that, I'll stay and pass my life with you! I'm not rich,But I've a rich mind where you'll be a queen!! Will You Please?"
সে কিছু বলতে পারছিলো না! জাস্ট তার চোখ দিয়ে পানি পরছিল আর মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উত্তর দিলো।
সে আর বিলম্ব দেরী না করে আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে গেলো।
ফোন আসল___
__আপনি এত পাগল কেনো? :'( (সে)
__পাগলের কি হলো? :) (আমি)
__আপনার সাথে তো আমার বিয়ে হবেই। সুতরাং আমাকে পাগলী বানানোর দরকার কি? ;)
__You Know What,"Successful relation don't Just happen.They take time, patience and two people who truly want to be together.
__আচ্ছা বুঝলাম
__শোনো,পরশু তো বিয়ে। আমি চাই সকাল ১১ টায় আমার সাথে তুমি দেখা করবা।আর হ্যা কোনো কিন্তু চলবে না। আমি সব মেনেজ করবো ;)
__দুপুরবেলা বিয়ে আর সকাল বেলা আমি আসবো কিভাবে?
__বললাম তো কোনো কিন্তু চলবে না :/
__আচ্ছা ঠিক আছে।
,
বিয়ের দিন।বিয়ের তোড়জোড় চলছে।
এদিকে কথা অনুযায়ী সে সকাল বেলা চলে আসলো দেখা করতে। আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে ৫/৭ টা বাইক নিয়ে আসলাম। তাকে আমার বাইকে বসিয়ে সোজা কোর্টে চলে গেলাম। সে তখনো বুঝতে পারছিলো না কি হতে চলছে! :)
আগে থেকেই সব কিছু ঠিক করা ছিলো :)
সো আর কষ্ট করতে হলো না। কোর্টে বিয়ে হলো। সে বুঝতে পেরেছিল আমি পাগলটাকে দমানো যাবে না! :/
দুপুর ২ টার দিকে তাঁর বাসায় গেলাম। সবাই দেখে অবাক। যাদের বিয়ে একটু পরে আর তারা কিনা এ কান্ড করলো।
সবাই বিষয়টা জানার পর হাসিতে ফেটে পড়লো :)
ওদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে তাকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসলাম।
বিয়ের পরবর্তী ৭ দিন সে তাদের বাসায় যায়নি ♥♥
আমাদের সমাজের রীতি অনুযায়ী বিয়ের পরদিন কনেকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে যেতে হয়! কিন্তু আমি সেটা করিনি :)
সেও যেতে চাইনি। "ভালোবাসা বুঝি একেই বলে!"
,
তাকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরালাম।
শপিং, চাইনিজ, বারবিকিউ সবই করলাম।  আমাদের যেটা বিয়ের আগে করার কথা ছিলো তা আমরা পরে করলাম। এতে কি ভালোবাসা কমেছে?  আদৌ না।বরং বেড়েছে।
,
আমি দেশে থাকবো আর ৩ মাস।  তাই বাবার অফিসে বসে পড়লাম। বাবাও খুশি হলেন :)
একদিন অফিস থেকে বাসায়
ফিরতে অনেক রাত হলো!
বাসায় ফিরে দেখি বউ আমার রাগে এটম।
__কি গো,খাবার দাও। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
__কারো ইচ্ছে হলে নিজেই নিয়ে খাক
(সে)
__ওরে বাবা,এত রাগ!!
__আমার কি রাগ করার অধিকার আছে
__আরে বাবা অফিসে অনেক কাজ ছিল।
__জানিত এটাই বলবে
,
আমি খেলুম না। তাঁর পাশে গিয়ে শুলুম।
__আরে এত রাগ করিও না
__করিনি
__শোন, আজ অফিসের কাজের ফাকে একটা
কবিতা লিখেছি তোমাকে নিয়ে
__(লাফ দিয়ে উঠে) কই,দেখি দেখি!!
__আরে বাবা,এখন না! যখন রাতের সব কিছু নিরব
হয়ে যাবে,কেবল তুমি আর আমি সজাগ থাকবো,
তখন ই সেটা তোমায় পড়ে শুনাবো! আমি চাইনা,
আমার ভালোবাসায় অন্য কারো ভাগ বসুক।
__তুমি এমন কেনো , আমাকে এত
ভালোবাসো কেনো? কখনো আমাকে
রেখে চলে যাবা না'ত?(!)
__নারে পাগলি,আমি শুধু তোকেই ভালোবাসি। আর
এ ভালোবাসা যদি সারাটা জীবন বয়ে বেড়াতে না
পারি তবে তো মরেই যাবো রে
,
বউ আমার বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে ফুপিয়ে
কাঁদছে আমি কিছু বলছি না। জানি পাগলিকে থামানো যাবে না।
পুরো পৃথিবী নিরব,কেবল আমরা দু জন
ভালোবাসার কাঙাল গভীরে তলিয়ে যাচ্ছি। ♥♥♥
ইংরেজি Q দিয়ে গঠিত সকল শব্দে Qএর
পরে u আছে।
☞ Rhythm সবচেয়ে দীর্ঘ ইংরেজি শব্দ
যার মধ্যে vowel নাই
☞ “Education” ও “Favourite”শব্দে সবগুলো
vowel আছে।
☞ “Abstemious ও Facetious ”শব্দে সবগুলো
vowel আছে।
মজার ব্যাপার হল শব্দের vowel গুলো
ক্রমানুসারে ( a-e-i-o-u) আছে।
☞ ইংরেজি madam ও reviver শব্দকে উল্টো
করে পড়লে একই হবে।
☞ “a quick brown fox jumps over the lazy dog”
বাক্যটিতে ইংরেজি ২৬টি অক্ষর আছে।
☞ হিটলার এবং লাদেনের মৃত্যু ঘোষণা
করার দিন একই তারিখে। তারিখটি ১ মে।
☞ আমরা সাধারণত মেসেজ, বা চ্যাটিং
এর সময় ইংরেজি you কে ছোট করে U
লিখি। এটি সর্বজন
স্বীকৃতি হয়েছে যখন প্রথম সেক্সপিয়ার
তার বইতে you এর পরিবর্তে U ব্যাবহার শুরু
করে।
☞ ১৮৯৮ সালে, টাইটানিক জাহাজ ডুবে
যাওয়ার ১৪ বছর আগে মর্গান রবার্টসন একটি
বই লিখেছিলো টাইটানিক জাহাজ
সম্পর্কে। বইটির নাম ছিলো "টাইটান"।
বইতে তিনি লিখেছিলো " টাইটানিক
জাহাজ বরফের টুকরার সাথে ধাক্কা
লেগে ডুবে যাবে।" আর
তাই তো হলো।

Tuesday, January 3, 2017

1) পাকা কলায় কি থাকে ? ➟ এমাইল
এসিটেট
2) পাকা আনারসে কি থাকে ? ➟
ইথাইল এসিটেট
3) পাকা কমলায় কি থাকে ? ➟ অকটাইল
এসিটেট
4) টমেটোতে কোন এসিড থাকে ? ➟
ম্যালিক এসিড
5) লেবুর রসে কোন এসিড থাকে ? ➟
সাইট্রিক এসিড
6) আপেলে কোন এসিড থাকে ? ➟
ম্যালিক এসিড
7) তেঁতুলে কোন এসিড থাকে ? ➟
টারটারিক এসিড
8) আমলকিতে কোন এসিড থাকে ? ➟
অক্সালিক এসিড
9) আঙ্গুরে কোন এসিড থাকে ? ➟
টারটারিক এসিড
10) কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে ?
➟ এসকরবিক এসিড
11) দুধে কোন এসিড থাকে ? ➟
ল্যাকটিক এসিড
12) কচু খেলে গলা চুলকায় কেন ? ➟
কারণ কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট
থাকে ।
13) রেকটিফাইড স্পিরিট কি ? ➟ 95.6%
ইথাইল এলকোহল এবং 4.4% পানির
মিশ্রণকে রেকটিফাইড স্পিরিট বলে ।
14) ডিডিটির পূর্ণরূপ কি ? ➟ ডাই-
ক্লোরো-ডাই-
ফিনাইল-ট্রাই-ক্লোরো-ইথেন
15) টিএনটির পূর্ণরুপ কি ? ➟ ট্রাই
নাইট্রো টলুইন
16) সাবানের রাসায়নিক নাম কি ? ➟
সোডিয়াম স্টিয়ারেট
17) টেস্টিং সল্ট এর রাসায়নিক নাম
কি ? ➟ সোডিয়াম মনোগ্লুটামেট
18) পেট্রোলের অপর নাম কি ? ➟
গ্যাসোলিন
19) সিরকায় কোন এসিড থাকে ? ➟
এসিটিক এসিড
20) একোয়া রেজিয়া বা রাজঅম্ল
কি ? ➟ এক মোল গাঢ় নাইট্রিক এসিড
এবং তিন মোল গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক
এসিডের মিশ্রণকে রাজ অম্ল বলে ।
21) বেকিং পাউডার কি ? ➟
সোডিয়াম বাই কার্বনেট ,
এলুমিনিয়াম সালফেট ও পটাসিয়াম
হাইড্রোজেন টারটারেটের মিশ্রণকে
বেকিং পাউডার বলে ।
22) লাফিং গ্যাস কি ? ➟ নাইট্রাস
অক্সাইডকে লাফিং গ্যাস বলে । এটি
হাস্য উদ্দীপক ।
23) দার্শনিকের উল কি ? ➟ জিঙ্ক
অক্সাইড দার্শনিকের উল নামে
পরিচিত ।
24) সাপের বিষে কোন ধাতুর অনু
থাকে ? ➟ জিংক
25) কোন ধাতুর উপর আঘাত করলে শব্দ হয়
না ? ➟ এন্টিমনি
26) বিজারক হিসেবে ক্রিয়া করে এমন
একমাত্র অধাতু কোনটি ? ➟ কার্বন
27) নির্বোধের সোনা কি ? ➟ আয়রণ
ডি সালফাইড
28) সবচেয়ে সক্রিয় ধাতু কি ? ➟
পটাসিয়াম
29) স্বাদে মিস্টি অথচ
কার্বোহাইড্রেট নয় কোনটি ? ➟
গ্লিসারিন
30) কোন বিজ্ঞানী পরীক্ষাগারে
সর্বপ্রথম জৈব যৌগ প্রস্তুত করেন ? ➟
জার্মান বিজ্ঞানী উহলার
31) বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিডের অপর
নাম কি ? ➟ সালফান
32) প্রস্রাব থেকে যে গন্ধ আসে তা
কিসের ? ➟ এমোনিয়ার
33) একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে
কোষের সংখ্যা কত ? ➟ ছয় লক্ষ কোটি
থেকে দশ লক্ষ কোটি
34) জীবকোষের কোথায় প্রোটিন
সংশ্লেষিত হয় ? ➟ প্রোটিন ফ্যাক্টরি
খ্যাত রাইবোজমে প্রোটিন
সংশ্লেষিত হয় ।
35) কোন জীবে সবচেয়ে কম সংখ্যক
ক্রোমোসোম থাকে ? ➟ এক ধরনের পুরুষ
পিঁপড়ায় ১টি এবং স্ত্রী পিঁপড়ায় ২টি
36) কোন উদ্ভিদে সর্বাধিক
ক্রোমোসোম থাকে ? ➟ ফার্ণবর্গীয়
উদ্ভিদে প্রায় ১২৬০টি
37) মাছিতে কয়টি ক্রোমোজোম
থাকে ? ➟ ১২ টি
38) কুকুরে কয়টি ক্রোমোজোম থাকে ?
➟ ৭৮টি
39) গরু ছাগলে কয়টি ক্রোমোজোম
থাকে ? ➟ ৬০টি
40) ধান গাছে কয়টি ক্রোমোজোম
থাকে ? ➟ ২৪ টি
41) ব্যাঙে কয়টি ক্রোমোজোম
থাকে ? ➟ ২২টি
42) মুরগীতে কয়টি ক্রোমোজোম
থাকে ? ➟ ৭৮টি
43) ভেড়াতে কয়টি ক্রোমোজোম
থাকে ? ➟ ৫৪টি
44) DNA তে কি থাকে না ? ➟
ইউরাসিল থাকে না ।
45) RNA এর প্রধান কাজ কি ? ➟ প্রোটিন
তৈরী
46) RNA তে কি থাকে না ? ➟
থায়ামিন থাকে না ।
47) মানবদেহে জিনের সংখ্যা কত ? ➟
৪০০০০
48) ভাইরাসজনিত রোগগুলো কি কি ?
➟ হাম , বসন্ত , পোলিও , ইনফ্লুয়েঞ্জা ,
জলাতঙ্ক , হার্পিস , মাম্পস , এইডস ,
হেপাটাইটিস ইত্যাদি ।
49) ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগগুলো কি
কি ? ➟ কলেরা , টাইফয়েড , কুষ্ঠ , যক্ষ্মা
, ডিপথেরিয়া , নিউমোনিয়া ইত্যাদি

50) মরুভূমিতে জন্মানো উদ্ভিদকে কি
বলে ? ➟ জেরোফাইট
51) সূর্যালোকিত বর্ষায় ধান গাছের
সালোক সংশ্লেষণের হার কিসের
দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ? ➟ কার্বন ডাই
অক্সাইডের ঘনত্ব হতে
52) টিকটিকির লেজ খসে যাওয়ার
কারণ কি ? ➟ ভয় পেলে টিকটিকির
লেজ খসে
53) বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণীর
নাম কি ? ➟ Sea Wasp বা সমুদ্র বোলতা
এরা একধরনের জেলী ফিস
54) এমিবা শব্দের অর্থ কি ? ➟ সর্বদা
পরিবর্তনশীল
55) প্রোটোজোয়া শব্দের অর্থ কি ? ➟
প্রথম প্রাণী
56) কোন পশু শব্দ করতে পারেনা ? ➟
জিরাফ
57) নিউমোনিয়া রোগের পরোক্ষ কারণ
কি ? ➟ গোলকৃমি
58) রাতের বেলা বিড়াল ও কুকুরের
চোখ জ্বলজ্বল করে কেন ? ➟ টেপেটোম
নামক রঞ্জক কোষের কারণে ।
59) মস্তিস্কের পর্দার নাম কি ? ➟
মেনিনজেস
60) হৃদপিন্ডের পর্দার নাম কি ? ➟
পেরিকার্ডিয়াম
61) ফুসফুসের পর্দার নাম কি ? ➟ প্লুরা
62) যকৃতের পর্দার নাম কি ? ➟ গ্লিসনস
ক্যাপসুল
63) অস্থির পর্দার নাম কি ? ➟ পেরি
অস্টিয়াম
64) তরুণাস্থির পর্দার নাম কি ? ➟
পেরিকার্ডিয়াম
65) স্নায়ুতন্ত্রের গাঠনিক একক কি ? ➟
নিউরন
66) রেচনতন্ত্রের গাঠনিক একক কি ? ➟
নেফ্রন
67) কংকালতন্ত্রের গাঠনিক একক কি ?
➟ অস্থি

 কয়েকটা খুন এবং একটি গল্প
.
লিখাঃ Shakhawat Hossain Rishat
.
২৬ নাম্বার হিকোরি রোড। রোডের চারপাশে কিছু অন্ধকার এলোমেলো গলি। তেমনই একটি গলির সামনে কিছু উৎসুক জনতার ভীর। ভীর থেকে একটু দূরে একটা লাশ পড়ে আছে উপুড় হয়ে।।লাশটার ধড় থেকে মাথাটা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে গেছে কেউ একজন।খুবই ভয়ংকর দৃশ্য।গা শিরশির করে উঠে। দেখামাত্রই মনে হয় স্টার্নাম বরাবর একটা শিরশিরে শীতল হাওয়া বয়ে গেছে। তার উপর আবার বিধঘূটে পঁচা গন্ধ। যেন নাড়িভূড়ি উল্টে বেড়িয়ে আসবে এখুনি।
.
CIA হেডকোয়ার্টার।এজেন্সি থেকে আর্জেন্ট মিটিং কল করা হয়েছে।
একটা টেবিলের মাঝ বরাবর বসে আছেন উইলিয়াম শেপার্ড।বয়স আনুমানিক ৪৫ । বড়জোড় টেনেটুনে ৫০।প্রচন্ড খিটখিটে মেজাজের মানুষ। আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা CIA এর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তিনি।চিপ ইন কমান্ডার। আর তার আশেপাশে বসে আছে আরো কয়েকজন অফিসার।প্রায় সবাই CIA এর হাইলি ডেকোরেটেড অফিসার। তার মধ্যে একজনের কথা আলাদাভাবে বলতে হবে। নাম কলিন চ্যাপম্যান। বয়সে তরুন। কিন্তু কাজেকর্মে দূর্দান্ত। অল্প সময়েই এজেন্সিতে নাম কামিয়েছে প্রচুর।
এদিকে সবারই কপাল খানিকটা কুঁচকানো। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে। বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট।
.
উইলিয়াম শেফার্ড যথাসম্ভব ভারী গলায় বললেন-
-- ডিয়ার ফ্রেন্ডস, আপনাদেরকে কেন ডাকা হয়েছে এই ব্যাপারে আশা করি আপনারা সবাই মোটামুটি অবগত আছেন। আসলে সমস্যা খুবই গুরুতর। আমাদের স্টেটে শেষ কয়েকদিন ধরে চলছে কিছু এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং। আজ নিয়ে মোট পাঁচটা মার্ডার হলো।আর সবগুলো মার্ডারের ধরনই হলো প্রায় একই।তবে হত্যাকারী কোন ক্লু ছেড়ে যায় নি।প্রথমেই এ বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে চাই। মি. কলিন, তুমি বিষয়টাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবে?
--কমান্ডার, পাঁচটা মার্ডারই পূর্ব পরিকল্পিত এবং মার্ডারের ধরন একই। লাশগুলোকে এমন জায়গায় ফেলে রাখে যাওয়া হয়েছে যেই পয়েন্টগুলোতে কোন সিসি ক্যামেরা নেই। আর ধারালো কমান্ডো নাইফ ব্যাবহার করা হয়েছে মাথাগুলোকে আলাদা করতে।
--কে করতে পারে এই কাজ?তোমার কি মনে হয়?
-- খুব সম্ভবত কোন সিরিয়াল কিলার কিংবা টেররিষ্ট ইউনিট। কারন সবগুলো মার্ডারের ধরন একই।
--হুম হতে পারে। তবে একটা ব্যাপার মোটামুটি ধারনা করা যায় যে এটা শুধুমাত্র একজন মানুষের কাজ নয়। কারন ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩ টা মাথাকাটা লাশ পাওয়া যায় তাও ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। একজন মানুষের পক্ষে একই দিন ৩ টা মার্ডার করে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় লাশ ফেলে যাওয়া সম্ভব নয়। তারা দলবদ্ধভাবে এই মার্ডারগুলো করছে।
বাট হু দ্য হেল ইজ দিস পিপল?
--খুব তাড়াতড়িই আমাদের এর একটা বিহিত করতে হবে কমান্ডার।স্টেটের জনগনের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে।
--আপনারা সবাই যে যার মত করে স্টাডি করুন কেইসটা। আর প্রাথমিকভাবে ইনভেস্টিগেশন চালিয়ে যান।আর কোন দূর্ঘটনা যাতে না ঘটে।
--ওকে স্যার।
.
আজ সকাল সকাল অফিসে চলে আসলেন কমান্ডার  উইলিয়াম শেফার্ড। টেবিলের উপর রাখা কফির মগটা থেকে এখনও ধোঁয়া উঠছে। কম্পিউটারের স্ক্রীনে চোখ পড়তেই তার সাদা চামড়ার চেহারাটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল । একটা মেইল আসছে কলিন চপম্যানের কাছ থেকে।
তড়িঘড়ি করে কলিনকে কল করলেন তিনি। একবার রিং বাজতেই ওপাশ থেকে গলার আওয়াজ ভেসে আসলো। তিনিও হয়তো কলটার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন।
--আবার? (শেফার্ড)
--হুম। এবার একজন নবজাতকের লাশ পাওয়া গেছে।খুনের ধরন একই।মাথাকাটা। ( কলিন)
-- কিন্তু এভাবে তো আর চলতে দেওয়া যায় না।
--হুম স্যার। যা করার খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।
--তুমি এখুনি আমার অফিসে আস।
--ওকে স্যার। আই উইল বি দেয়ার ইন টেন মিনিটস্।
-- হুম। আর আসার আগে থানায় কয়েকদিনের মধ্যে কোন নবজাতকের মিসিং রিপোর্ট আসছে কিনা সেটা চেক করে এসো।
--জ্বি স্যার।
.
কিছুক্ষন পরই কলিন চ্যাপম্যান অনেকটা হুড়মুড় করে অফিসে এসে ঢুকলেন।এসেই গলায় উৎকন্ঠা জড়িয়ে বললেন-
--কমান্ডার, আপনার ধারনাই ঠিক। দুই দিন আগে একটা মিসিং রিপোর্ট আসে। সেন্ট্রাল হসপিটাল থেকে ২ দিনের একটা বাচ্চা হারিয়ে যায়।
--তাহলে মার্ডার হওয়া বাচ্চাটা কি উনাদেরই? যোগাযোগ করেছিলে ঐ পরিবারে সাথে?
--জ্বি স্যার। বাচ্চা উনাদেরই।
--কিভাবে সিওর হলে? ভিকটিমের তো গলাকাটা ছিল।
--বাচ্চাটার শরীরে একটা জন্মদাগ ছিল। তার পরিবার ওটা দেখেই শনাক্ত করে। বাচ্চা ওনাদেরই।
-- একটা দুই দিনের বাচ্চাকেও ছাড়লো না ওই পাষন্ড। কি চায় ওরা? কে আছে এই হত্যাকান্ডের পিছনে? কি ওদের মোটিভ? (চিৎকার করে)
--এছাড়া আরও বাকি যে পাঁচজন খুন হয়েছিল তাদের নামেও মিসিং রিপোর্ট ছিল বিভিন্ন থানায়।
-- কিছু তো একটা ব্যাপার আছে। পাঁচটা খুনেই ভিকটিম এর মাথা কাটা।
তারমানে খুনগুলো এমনিতেই হচ্ছে না। খুন করে খুনী এদের 'মাথা' কেটে রেখে দিচ্ছে। কিংবা অন্য কোথাও ফেলে দিচ্ছে। কিন্তু এটা কেন করছে?
--কমান্ডার, একটা ব্যাপার লক্ষ করেছেন কি?
--কি?
--এই পাঁচটা খুনের মাঝেই কিন্তু একটা প্যাটার্ণ আছে।
--কেমন?
--দেখুন, প্রথমে পাওয়া যায় একজন বৃদ্ধের লাশ। বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। এরপর পাওয়া যায় একজন মধ্যবয়ষ্ক মানুষের। বয়স ৩৫-৪০। এরপর যে খুন হয় সে বয়সে নিতান্তই যুবক। বয়স হয়তো ২০-২১ বছর হবে। এরপর সদ্য জন্ম নেওয়া একজন নবজাতকের। আর বাকি দুইটা লাশ একজন বৃদ্ধা মহিলা এবং একজন মধ্যবয়স্ক নারীর।
এই সবগুলো খুনের মধ্যে কোথাও একটা মিল আছে।
--হুম। তার মানে তুমি বলতে চাইছো খুনীর টার্গেট এখন একজন যুবতী মেয়ে? যার বয়স হবে ২০-২১ বছর?
--হুম। স্যার। সেই সম্ভবনাটাই তো সবচেয়ে জোরালো।
--২০-২১ বছরের ওই ছেলেটা কোথা থেকে মিসিং?
-- তার পরিবারের ভাষ্যমতে, কলেজ থেকে।
-- স্টেটের সবকটা কলেজে সিভিল ড্রেসে আমাদের লোক নামিয়ে দাও। খুনী হয়তো কোন কলেজ থেকেই মেয়েটাকে তুলবে।
--ওকে কমান্ডার।
-- আর সেন্ট্রাল হসপিটালের সিসি ক্যামেরা চেক করো। বাচ্চাটাতো আর এভাবে গায়েব হয়ে যায় নি। এর পিছনে কেউ তো আছে।
-- ওকে আমি দেখছি কমান্ডার।
.
দুপুর। লাঞ্চ শেষ করে একটা বইয়ে মুখ গুজে দিয়ে আছেন কমান্ডার। ফ্রেডরিক ফরসাইথ এর অনবদ্য থ্রিলার ' দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেল' পড়ছিলেন। ইন্টারন্যাশ্যানাল বেষ্ট সেলিং থ্রিলার। ক্লাইমেক্স এ যখন আসলেন তখনই বেরসিকের মত ভিতরে ঢুকলেন ইনভেস্টিগেটর অফিসার মি. নাইজেল। ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকালেন কমান্ডার।অনেকটা কর্কশ গলায় মি. নাইজেল বললেন-
-- দুই জন কিডনাপার ধরা পড়েছে।
--কোথা থেকে? (কমান্ডার)
-- প্রিন্সটন ইউনির্ভাসিটি থেকে। একটা মেয়েকে ট্র্যাপ করার সময় ধরা পড়েছে।
--টার্গেটের কোন ক্ষতি হয় নি তো?
--নো স্যার। মেয়েটা ভালো আছে।
--কিডন্যাপারদের ইন্টেরোগেট করেছেন?
--জ্বি স্যার। ওরা ভাড়াটে লোক। টাকার বিনিময়ে কাজ করে। যে অপারেশনটা লিড করছে তার সাথে এদের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই।
--তাহলে 'টার্গেট' কে ওর কাছে পৌছে দেয় কিভাবে।
--ওদের কে একটা সাদা কাগজ দেওয়া হয়েছে। কথা ছিল কিডন্যাপের পর বাকি ইন্সট্রাকশান ওদের দেওয়া হবে সময়মতো।
--সাদা কাগজ?? কোন কিছু লিখা ছিলো না?
--নো স্যার।
--কাগজটা ল্যাবে পাঠিয়ে দিন। হতে পারে ওখান থেকে কোন ক্লু পাওয়া যাবে।
--ওকে স্যার।
আরেকটা নিউজ, সেন্ট্রাল হসপিটাল থেকে যে বাচ্চাটা চুরি করে সে ও ধরা পড়েছে।
--তাই নাকি? ভাল সংবাদ।
--জ্বি স্যার। ও একজন ক্ল্যাপটোম্যানিয়াক। আগেও ওর নামে থানায় ডায়েরী করা ছিল। সাধারনত ছোটখাটো চুরি সাথে যুক্ত থাকে।
--কোন তথ্য পেয়েছেন ওর কাছ থেকে?
--তেমন কিছু নয়। তার কাছ থেকেও একটা সাদা কাগজ পাওয়া গেছে।
--ওকে আপনি দুইটা কাগজই ল্যাবে পাঠিয়ে দিন।
সন্ধ্যার মধ্যেই আমি রিপোর্ট চাই।
--হয়ে যাবে স্যার।
.
সন্ধ্যা ৭:২৭।
CIA হেডকোয়ার্টার।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সব অফিসারকে ডেকে পাঠালেন কমান্ডার। ল্যাব রিপোর্টে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।সে ব্যাপারে কথা বলার জন্যই জরুরি তলব।
কিছুক্ষন পর নিরবতা ভেঙে এজেন্সির চীপ ক্যামিষ্ট 'উইলিয়াম শার্প' তার ভারী আওয়াজে কথা বলা শুরু করলেন।
--জ্যান্টালম্যান, আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্ধার করতে পেরেছি। যে সাদা কাগজগুলো আমরা উদ্ধার করেছিলাম এগুলো মূলত ইনভিজিবল ইন্ক দিয়ে লিখা। এজন্য খালিচোখে এগুলোকে আমাদের নিতান্তই সাদা কাগজ বলে মনে হয়েছে।
১ম কাগজটাতে ব্যবহার করা হয়েছে 'ফেনলথ্যালিন'। এই রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে লিখার কিছু সময় পর তা অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু যখন একে আবার সোডিয়াম কার্বনেটের সংস্পর্শে আনা হয় তা গোলাপী বর্ণে ফুটে উঠে। সাদা কাগজটাতে কোড ল্যাংগুয়েজে একটা লিখা ছিল। সেটাকে ডিকোড করে একটা একটা ঠিকানা পাওয়া যায়। সম্ভবত কিডন্যাপাররা ' টার্গেট' কে সেই ঠিকানায় পৌছে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলো।
আর ২য় কাগজটাতে অর্থাৎ যেটা ক্ল্যাপটোম্যানিয়াক এর কাছ থেকে পাওযা যায় সেটাতে খুবই পুরাতন কিন্তু কার্যকরী একটা ট্রিক্স ইউজ করা হয়। সাধারন লেবুর রস দিয়ে লিখা হয়েছিল সেখানে। ফলে ঐ কাগজে তাপ দেওয়ার সাথে সাথে কার্বন পুড়ে বাদামি বর্ণের লিখা ফুটে উঠে। সেখানেও একই ঠিকানা পাওয়া যায়।
-- আর অন্য কোন তথ্য কি পেয়েছেন?( কমান্ডার)
-- ফিঙ্গার ফ্রিন্ট পাওয়া যায় কিছু। সেখানে দুইটা ফিঙ্গার ফ্রিন্ট হলো একজন কিডন্যাপার আর আরেকটা ঐ যে বাচ্চা চুরি করেছে তার। তবে দুইটা কাগজেই একই ধরনের দুইটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া যায়। ওগুলো সম্ভবত মূল হোতার। অর্থাৎ যে মিশনটা চালাচ্ছে তার।
-- আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
.
একটা ফোর্স নিয়ে কমান্ডার শেপার্ড, কলিন চ্যাপম্যানরা গজরাতে গজরাতে রওনা দেয় ওই ঠিকানায়।আজ যে এর একটা বিহিত করতেই হবে। সাথে করে নিয়ে যায় অত্যাধুনিক সব অস্ত্র।হ্যাকলার এন্ড কচ HK416, F-2000 এ্যাসল্ট রাইফেল, AK-47, কিংবা অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল AS50 সবই।
এরই মধ্যে সব প্ল্যান করে নেয় তারা। দুইটা সাব ইউনিটে আক্রমনে যাবে তারা। তার মধ্যে 'সাব ইউনিট-B' ব্যাকাপ হিসেবে থাকবে। স্নাইপার রাইফেলে টারগেটকে এনগেজ' করে রাখবে। অর্ডার পাওয়া মাত্রই শ্যুট করবে। আর 'সাব ইউনিট -A' ফিল্ড এ্যাকশনে যাবে।
.
ঠিকানায় পৌছে কিছুটা অবাক হয় তারা। জায়গাটা খুবই অদ্ভুত। প্রচন্ড নির্জন। গাছগুলো শুষ্ক, পাতাঝরা, মৃত। যেন পরিকল্পিতভাবে সাজানো কোন এক মৃত্যুপুরি। কিছুটা দূরে একটা ছোট ঘরের মত। বাইরে থেকে দেখে তেমন কিছু বুঝা যাচ্ছে না।
হঠাৎ করে আতর্কিত গুলি বর্ষন হতে থাকে তাদের উপর। নিজেদের গাছের আড়াল করে পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে তারাও। তবে আকষ্মাৎ আক্রমনে তাদের কিছুটা ড্যামেজ হয়ে গেছে ততক্ষনে। কমান্ডার শেপার্ডের ডান থাইয়ে গুলি লাগে। বুলেট একপাশ ঘেষে মাংশপেশী ভেদ করে বেরিয়ে গেছে।তড়িঘড়ি করে প্রিজন ভ্যানে নেওয়া হয় তাকে। ততক্ষনে গোলাগুলিও কিছুটা থেমেছে।
.
'সাব ইউনিট -B' কমান্ডারের অর্ডার পেতেই আক্রমন শুরু করে। দুটো সাব ইউনিটই একসাথে আক্রমনে যায় এবার। এতে ভারি অস্ত্রশস্ত্রের সামনে শত্রুপক্ষ কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যায়।গুলি করতে করতে সামনে এগুতে থাকে তারা।একসময় ওই ঘরটার সামনে চলে যায়।
দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকতেই যেন রিতীমত ধাক্কা খায় তারা। পুরো রুমটা ধবধবে সাদা টাইলসে মোড়ানো। অত্যাধুনিক সব যন্তপাতিতে রুমটা ঠাসা। এদিকে ওদিকে কম্পিউটার ছড়ানো ছিটানো। এছাড়া কম্পিউটারের মত অদ্ভুত একটা যন্ত্র। কিছু মোমের ট্রে এর উপর ছোট ছোট টুকরা করা মাথার অংশবিশেষ। খুব জঘন্য ভাবে কেটে  ফেলা হয়েছে মাথাগুলোকে। মগজগুলো এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
রুমের এক কোণে একটা রকিং চেয়ারে বসে কেউ একজন দুলছে। গায়ে ধবধবে সাদা লেব কোট। চোখে সেপটি গ্লাস, হাতে নীল রঙের হ্যান্ডগ্লাবস্।
তার চারপাশ ঘিরে গুলি তাক করে আছে CIA এর সব অফিসার। খানিক বাদে একটা হুইল চেয়ার করে রুমে ঢুকলেন কমান্ডার শেপার্ড।
ঢুকেই রকিং চেয়ারটার দিকে তাকিয়ে ভূত দেখার মত আৎকে উঠলেন কমান্ডার। অবিশ্বাসের কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন--
--গ্রিজম্যান? তুমি?
--হুম মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড। আমি।
--এই সবগুলো খুন তুমি করিয়েছো?
--হুম আমি করিয়েছি।
কথাগুলো শুনে কমান্ডার প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। কারন এই গ্রিজম্যান উনার খুবই ভালো বন্ধু।
পুরো নাম কার্লোস গ্রিজম্যান। পৃথিবীর সবচেয়ে তুখোড় নিউরোসাইনটিষ্ট।সে এত জঘন্য কাজ করতে পারে কমান্ডার শেপার্ড এটা ভাবতেও পারেন নি।কমান্ডার এই ধাক্কাটা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। খানিকটা তোতলাতে তোতলাতে কমান্ডার আবার জিজ্ঞেস করলেন--
--তুমি এত নিচে নামতে পারলে? কেন করলে তুমি এটা?
--বিকজ আই ওয়ানা বি গড।
--মানে?
--তুমি তো জানো নিউরোসাইন্টিস্টদের গবেষনার মূল বিষয় মস্তিষ্ক। আর এই পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালি মস্তিষ্ক হলো মানবমস্তিষ্ক। আর আমার গবেষনার বিষয়ই হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স। অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আমি মস্তিষ্কের নিউরনের আদলে একটা শক্তিশালী 'নিউরাল কম্পিউটার' বানাতে চাই।যেটি মস্তিষ্ক এবং কম্পিউটারের একটি মিলিত রুপ। যা দিয়ে আমি সমস্ত সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবো।ইউ নো, জাষ্ট লাইক গড।
--তাই বলে মানুষ খুন,কিডন্যাপ? একটা নবজাতক বাচ্চাকেও তুমি ছাড়লে না। তাকেও তোমার এই নোংরা গবেষনায় বলি দিতে হলো?
--নির্দিষ্ট বয়স পরপর মানব মস্তিষ্কের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, অভিযোজন সবই আমার জানা প্রয়োজন। তাই করতে হলো।
--তুমি প্রচন্ড বোকা গ্রিজম্যান। তুমি একটি কম্পিউটার দিয়ে সমস্ত সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রন করতে চাও? সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সেই অধিকার দেন নি।
--তুমি বড্ড সেকেলে। এসব রিলিজিয়াস কথাবার্তা তোমার মুখে মানায় না।তুমি তো জানো আমি এসব ধর্ম-কর্মে বিশ্বাস করি না।
দেখো আইনস্টাইন তার মস্তিষ্কের মাত্র ১১% ব্যবহার করে পুরো পৃথিবী কাঁপিয়ে দিয়েছিল।আর নিউরাল কম্পিউটার তো তার থেকেও হাজার গুণ শক্তিশালী।সেটি দিয়ে পুরো সৃষ্টি নিয়ন্ত্রন করা খুবই কঠিন কিছু নয়। কিন্তু কাজ শেষ করার আগেই তো তুমি বাগড়া দিলে।
-- জানো তো অন্যের ক্ষতি করে কখনও সফল হওয়া যায় না।
কিন্তু তুমি তো ধর্ম, সৃষ্টি, সৃষ্টিকর্তা এসব বিশ্বাস করো না। তাহলে 'সৃষ্টিকর্তা' হতে চাও কেন? তার মতো সৃষ্টি, শক্তি এসবের নিয়ন্ত্রন নিতে চাও কেন?
তার মানে এটা নয় কি যে তুমি পরোক্ষভাবে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করছো। আসলে তুমি খুব 'সুক্ষভাবে' ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা এসবে বিশ্বাস করো। কিন্তু সেটা তুমি স্বীকার করতে চাও না। কিংবা তুমি নিজেই বুঝতে পারো নি।আর এখানেই তুমি ভুলটা করেছো।
আই ফিল সরি ফর ইউ, পুওর ম্যান।
.
কিছুক্ষন পর রুমের ভিতর থেকে 'খট-খট' করে বন্দুকের ব্যারল টানার আওয়াজ পাওয়া গেলো।আর সে সাথে সমাপ্ত হলে আরেকটি বিভৎস গল্পের।
#জনকের_নাম
......
১। জীব বিজ্ঞানের জনক : এরিস্টটল
২। প্রাণী বিজ্ঞানের জনক : এরিস্টটল
৩। রসায়ন বিজ্ঞানের জনক : জাবির ইবনে হাইয়্যান
৪। পদার্থ বিজ্ঞানের জনক : আইজ্যাক নিউটন
৫। সমাজ বিজ্ঞানের জনক : অগাষ্ট কোৎ
৬। হিসাব বিজ্ঞানের জনক : লুকাপ্যাসিওলি
৭। চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক : ইবনে সিনা
৮। দর্শন শাস্ত্রের জনক : সক্রেটিস
৯। ইতিহাসের জনক : হেরোডোটাস
১০। ভূগোলের জনক : ইরাটস থেনিস
১১। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক : এরিস্টটল
১২। অর্থনীতির জনক : এডাম স্মিথ
১৩। অংকের জনক : আর্কিমিডিস
১৪। বিজ্ঞানের জনক : থ্যালিস
১৫। মেডিসিনের জনক : হিপোক্রটিস
১৬। জ্যামিতির জনক : ইউক্লিড
১৭। বীজ গণিতের জনক : আল খাওয়াজমী
১৮। জীবাণু বিদ্যার জনক : লুই পাস্তুর
১৯। বিবর্তনবাদ তত্ত্বের জনক : চার্লস ডারউইন
২০। সনেটের জনক : পের্ত্রাক
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
১। জাতিসংষের নবম মহাসচিব কে?
উত্তরঃ অ্যান্টিনিও গুতেরেস (পর্তুগাল)।
২।আই এস এর বার্তা সংস্থার নাম কি?
উত্তরঃ আমাক নিউজ।
৩।নবেল বিজয়ী জাতিসংঘ মহাসচিব
কতজন? উত্তরঃ ২ জন।
৪।৮ম ব্রিকস সম্মেলন কোথাই উনুষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ গোয়া, ভারত।
৫।৯ম ব্রিকস সম্মেলন ২০১৭ কোথাই উনুষ্ঠিত
হবে? উত্তরঃ জিয়ামেন, চীন।
৬।২৪তম এপেক সম্মেলন কোথাই উনুষ্ঠিত
হবে? উত্তরঃ লিমা, পেরু।
৭।২২তম জলবায়ু সম্মেলন কোথাই উনুষ্ঠিত
হবে?উত্তরঃ মারাকেশ, মরোক্কা।
৮।২০১৭ সালে কোন দেশে আইপিউ (IPU)
এর ১৩৬ তম সম্মেলন উনুষ্ঠিত হবে কোথায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশ।
৯।কবে চীনের president বাংলাদেশ সফর
করেন? উত্তরঃ ১৪ অক্টোবর,২০১৬।
১০।চীনের president কয়টি চুক্তি ও
সমঝোতা করে? উত্তরঃ ২৭ টি।
১১।কমনওয়েলথ এর বর্তমান সদস্য দেশ কতটি?
উত্তরঃ ৫২ টি।
১২।এ পর্যন্ত কতটি দেশ কমনওয়েলথ থেকে
নিজেকে প্রত্যাহার করেছে? উত্তরঃ৪
টি।
১৩।G-77 এর বর্তমান সদস্য কতটি? উত্তরঃ
১৩৪ টি (সর্বশেষ দক্ষিন সুদান)।
১৪।২০১৬ সালে বাংলাদেশে
অতিদারিদ্রের হার কত?উত্তরঃ ১২.৯ %।
১৫।অতিদারিদ্রের আয় কত? উত্ততঃ
দৈনিক ১.৯০ ডলারের কম।
১৬।আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উনুযায়ী
বিশ্বে শরণার্থী সংখ্যা কত? উত্তরঃ ২
কোটি ১০ লাখ।
১৭।প্যারিস চুক্তি কবে কার্যকর হয় কবে?
উত্তরঃ ৪ নভেম্বর, ২০১৬।
১৮। বাংলাদেশ কবে প্যারিস চুক্তি সাক্ষর
করে? উত্তরঃ ২২ এপ্রিল, ২০১৬।
১৯।২০২৩ সালে ১৩ তম আইসিসি ক্রিকেট
বিশ্বকাপ কোথায় উনুষ্ঠিত হবে? উত্তরঃ
ভারত।
২০।জুতা উৎপাদন ও রপ্তানিতে শীর্ষ শেষ
কোনটা? উত্তরঃ চীন।
২১।বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে সবচেয়ে ভাল
দেশ কোনটা?উত্তরঃ আর্জেন্টিনা।
২২।বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে সবচেয়ে খারাপ
দেশ কোনটা?উত্তরঃ মধ্য আফ্রিকান
প্রজাতন্ত্র।
২৩।বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের
অবস্থান?উত্তরঃ ৯০ তম।
২৪। দরিদ্র জনসংখ্যায় শীর্ষ দেশ কোনটা?
উত্তরঃ ভারত।
২৫।দরিদ্র জনসংখ্যায় বাংলাদেশেরে
অবস্থান কত? উত্তরঃ ৮ম।
২৬। কর্মসংন্থানে শীর্ষ কন দেশ? উত্তরঃ
নেদারল্যান্ড।
২৭।বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষ দেশ কোনটা?
উত্তরঃ জাপান।
২৮।২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশের
প্রবৃদ্ধি কত? উত্তরঃ ৭.১১%।
২৯।বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয়
কত? উত্তরঃ ১৪৬৫ ডলার।
৩০।২০১৬ পর্যন্ত বীরাঙ্গনা কতজন? উত্তরঃ
১৪৬ জন।

Monday, January 2, 2017

১) Yahoo - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ David Filo & Jerry Yang
২) Google - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Sergey Brin & Larry Page
৩) Twitter - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Evan Williams Biz Stone & Jack Dorsey
৪) Facebook - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Mark Zuckerberg, Dustin Moskovitz, Chris Hughes & Eduardo Saverin
৫) Youtube - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Jawed Karim, Steve Chen & Chad Hurley,৬) Wikipedia - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Jimmy Wales & Larry Sanger৭) Hotmail - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Sabeer Bhatia
৮) Wikileaks - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Julian Assange
৯) Orkut - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Orkut Buyukkokten
১০) MySpace - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ TomAnderson & Chris DeWolfe
১১) eBay - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Pierre Omidyar
১২) Friendster - এর প্রতিষ্ঠাতা?
উঃ Jonathan Abram
১. একটি পঞ্চভুজের সমষ্টি?
— ৬ সমকোণ
২.একটি সুষম ষড়ভুজের অন্ত:কোণগুলোর
সমষ্টি
— ৭২০ ডিগ্রি
৩.বৃত্তের ব্যাস তিনগুন বৃদ্ধি পেলে
ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পায়
— ৯গুন
৪.কোন ত্রিভুজের বাহুগুলোর লম্বদ্বিখন্ড
যে বিন্দুতে ছেদ করে তাকে বলে
— অন্ত:কেন্দ্র
৫.স্পর্শবিন্দুগামী ব্যাসার্ধ এবং
স্পর্শকের অন্তর্ভুক্ত কোণ–
–৯০ ডিগ্রী
১৷জ্যা’ শব্দের অর্থ কি?
=ভূমি
২৷ দুটি সন্নিহিত কোণের সমষ্টি দুই
সমকোণ হলে একটিকে অপরটির কি
বলে?
=সম্পূরক কোণ
৩৷ একটি সরলরেখার সাথে অপর একটি
রেখাংশ মিলিত যে দুটি সন্নিহিত
কোণ উৎপন্ন হয়, তাদের সমষ্টি হবে
=দুই সমকোণ(১৮০°)
৪৷ <A ও <B পরস্পর সম্পূরক কোণ ৷ <A=115°
হলে <B=কত?
=65°
৫৷ দুটি পূরক কোণের সমষ্টি কত?
=৯০°
৬৷ সম্পূরক কোণের মান কত?
=১৮০°
১. কোন ত্রিভুজের তিনটি বাহুকে
বর্ধিত করলে উৎপন্ন বহিঃস্থ কোণ
তিনটির সমষ্টি
— ৩৬০ ডিগ্রী
২.সমকোণী ত্রিভুজের সমকোণ সংলগ্ন
বাহুদ্বয় যথাক্রমে ৩,৪ সেমি হলে,
অতিভুজের মান কত?
— ৫ সে.মি
৩.সামন্তরিকের বিপরীত
কোণেরঅর্ন্তদ্বিখন্ডকদ্বয়
–পরস্পর সমান্তরাল
৪. একটি বর্গক্ষেত্রের এক বাহু অপর একটি
বর্গক্ষেত্রের পরিসীমার সমান হলে ,
বর্গক্ষেত্র দু.টির কর্ণের অনুপাত কত?
–৪:১
৫.রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে
সমদ্বিকন্ডিত করলে তাদের অন্তর্ভুক্ত
কোণ
— ৯০ ডিগ্রী
বৃত্ত সম্পর্কিত তথ্য
*************
※ পূর্ণ বক্ররেখার দৈর্ঘ্য কে বলা হয়?
=পরিধি
.
※ বৃত্তের পরিধির সূত্র
=2πr
※পরিধির যেকোন অংশকে বলা হয়
=চাপ
※পরিধির যেকোন দুই বিন্দুর সংযোগ
সরলরেখাকে বলা হয়
=জ্যা( বৃত্তের ব্যাস হচ্ছে বৃত্তের বৃহত্তম
জ্যা)
.
※ বৃত্তের কেন্দ্রগামী সকল জ্যা-ই
=ব্যাস
※ কেন্দ্র থেকে পরিধি পর্যন্ত দূরত্বকে
বলা হয়
=ব্যাসার্ধ
বৃত্ত সম্পর্কিত কিছু ধারণাঃ
-----------------------
※একই সরলরেখায় অবস্থিত তিনটি বিন্দুর
মধ্য দিয়ে কোন বৃত্ত আকা যায়না।
※দুটি নির্দিষ্ট বিন্দু দিয়ে ৩টি বৃত্ত
আকা যায়।
.
※একটি বৃত্তের যেকোন দুটি বিন্দুর
সংযোজক রেখাকে জ্যা বলা হয়।
※বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে π
বলে।
অপ্রত্যাশিত ব্রেকআপ
//
\\
অনুর সাথে নীলয় আর রিলেশন রাখবে
না বলে ফোনে জানিয়ে দেয়।নীলয়
কেন এসব বলছে তার কিছুই জানেনা
অনু।কথাটা শুনে মনের সাথে অনেকটা
যুদ্ধ করে অবশেষে নীলয়কে ফোন দেয়
অনু।নীলয় জানত অনু ফোন দিবে এবং
এটাও জানে কেন ফোন দিয়েছে তাই
রিসিভ করল।রিসিভ করেই.......
\\
"কি হলো আবার ফোন দিলে কেন? একটু
আগেই না কথা বললাম।
"তোমার সাথে আমি দেখা করব একটু
সময় দিবে?
"জানি তুমি ভাবছ আমি তোমাকে সময়
দেব না।অন্যদের মতো কাজের
বাহানা দেখাব।কিন্তু এর একটাও আমি
করব না।আমার কথায় নানা সমস্যা
উপেক্ষা করে তুমি তোমার জীবনের
অনেকটা সময় আমাকে দিয়েছ।বলো কখন
দেখা করতে হবে??
"বিকালে নদীর পাড়ে চলে এসো।
"হুম,ঠিক আছে।
"আচ্ছা রাখি।
"আচ্ছা।

যথাসময়ে দুজনই নদীর পাড়ে চলে
এসেছে।অনু বসে আছে আর নীলয়
দাঁড়িয়ে।অনু কিছু বলছে না তাই নীলয়
নিজেই ওর পাশে বসল।অনু বুঝতে পারছে
না ঠিক কিভাবে কথা বলা শুরু করবে।
অনেকটা সময় নীরবতা আর নদীর পাড়ের
অপরূপ সৌন্দর্য দেখেই কাটিয়ে দেয়
দুজন।মনের সাথেও হয়ত যুদ্ধ করছে তারা।
নীরবতা ভেঙ্গে নীলয় অনুকে কেন
দেখা করতে বলছে জানতে চায়।
নীলয়ের কথা শুনে অনেকটা কান্না
ভেজা কন্ঠেই অনু বলে উঠে......
..
"কেন তুমি রিলেশন রাখতে চাচ্ছ না?
"আমার কিছু বলার নাই।শুধু এতটুকুই জানি
তোমার সাথে আমার রিলেশন রাখা
সম্ভব না।
"কেন কি দোষ আমার?
"আমি কি বলছি তোমার কোন দোষ
আছে?
"তা বলনাই।কিন্তু তুমিতো বলবা কেন
রিলেশন রাখতে চাও না।
"প্লিজ আর কোন প্রশ্ন করোনা।তুমি চলে
যাও।
"কেন প্রশ্ন করব না??
"তোমাকে বলছি তো তুমি চলে যাও।
কথা বাড়াচ্ছ কেন?
"আমি যাবনা।আগে আমার প্রশ্নের
উত্তর দাও তারপর আমি চলে যাব।
"আমি কিছুই বলব না।এখন বল তুমি যাবে
নাকি আমিই চলে যাব??
"ঠিক আছে চলে যাচ্ছি।আর কোনদিন
তোমার সামনে আসব না।
।।।।
এতটুকু বলেই কান্না করতে করতে চলে
যায় অনু।নীলয় অনুর চলে যাওয়া টাও
দেখেনি।
।।।।
অনুর সাথে ব্রেকআপ করে নীলয় ও সুখী
না।ফেইসবুকে পরিচয় তাদের।অনুর
ভালো ব্যবহার,অন্যান্য মেয়েদের
তুলনায় ধার্মিক এসব দেখেই ভালো
লেগে যায় নীলয়ের।কিছুদিন
চ্যাটিং করার পর বন্ধুত্বটা ঘনিষ্ঠ হয়
এবং নীলয় অনুর ছবি দেখতে চায়।নীলয়
অনেক ভাল ছেলে এটা অনু জানত তাই
নির্দ্বিধায় ও তার ছবি নীলয়কে
দিয়ে দেয়।ছবি দেখে নীলয় অনুর প্রতি
আরোও দুর্বল হয়ে যায় এবং দুজনের
মাঝে বন্ধুত্ব চেয়েও বেশী মধুর একটা
সম্পর্ক হয়েছিল।যার নাম ভালোবাসা।
ভালোই চলছিল এতদিন।এর মাঝে আরও
কয়েকবার দেখা হয়েছিল ওদের।
।।।।
আজ শেষ দেখা।এত ভালো সম্পর্কটা আজ
শেষ করে দিল নীলয়।অনু ভেবেছিল
দেখা করলে হয়ত সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু কিছুই হলো না।তাদের সম্পর্ক শেষ
করার পেছনে নেই অনুর কোন দোষ। সম্পর্ক
শেষ করার পেছনে নীলয়ের দোষই বা
কতটুকু তা অনেকটা বিবেচনার বিষয়।
নীলয়ের পরিবারের সাথে অনুর
পরিবারের আর্থিক অবস্থার অনেক
ব্যবধান। নীলয় আগে জানলেও প্রেমের
কাছে তা গুরুত্ব পায় নি । কিন্তু
নীলয়ের বাবা-মা যখন খোঁজ নেন তখন
অনুর পরিবারের কথা জানতে পারেন ।
আকাশ দূর দিগন্তে মাটির সাথে
মিশে গেছে মনে হলেও যেমন মিশে
যায় না, তেমনি ধনীর দুলালের সাথে
সাথে হতদরিদ্র কন্যার প্রেমও
বেমানান। নিলয় যদিও অনেক চেষ্টা
করেছিল বাবা মা কে মানাতে,
কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে
বাবার অসুস্থতা আর মায়ের অনশনের
কাছে হার মানতে হয় নিলয় কে। আর
তাইতো নিলয়ের মুখে কোন জবাব ছিল
না।সমাজের মানুষের কাছে ছোট হয়ে
যাবে তাই নিজের ছেলেকে বাধ্য
করেছে অনুর সাথে ব্রেকআপ করতে।
বেচারা নীলয় ও বাবা-মার
ভালোবাসা হারাতে চায়নি।তাই
অনুকে ফিরিয়ে দিয়েছে।অনুকে এসব
বলার
মতো সৎ সাহস নীলয়ের নাই।তাই সে
অনুর সাথে খারাপ ব্যবহার করে বিদায়
করে দিছে।

টাকার কাছে ভালোবাসার মতো
একটা পবিত্র সম্পর্ক ভেঙ্গে গেল।
ভালোবাসার পথে বাঁধা থাকবেই।
কেউ কেউ বাঁধা বিপত্তি জয় করে
ভালোবাসা পায় আবার কেউ কেউ
একটু বাঁধা পেলেই নিজেকে গুটিয়ে
নেয়।টাকার কাছে ভালোবাসাকে
যদি বলিদানই দিতে হয়,তবে কি দরকার
প্রেম করার??
"কনফিউজড ভালবাসা"


-কিরে কেমন আচছ?
-এতক্ষণ তো ভালই ছিলাম,
-তাইলে এখন কি খারাপ লাগতাছে নাকি?
-নাহ তুমার সাথে কথা বলে আরো ভাল লাগতাছে,
-হুম তাই বল,
*ওর নাম ছিল দোলন,ওর সাথে আমার রিলেশন প্রায় একবছর ধরে,ওর কন্ঠ/গলার আওয়াজ আমার কাছে খুব ভাল লাগত বলতে গেলে ওর কন্ঠ আমায় পাগল করে দিত,ও যখন গান গাইত আমার মনে হত আমি আর পৃিথবীতে নেই যেন সপ্নের জগতে গুরুপাক খাচ্ছি।ওর হাটার ধরন আমায় পাগল করে দিত যেন এত সুন্দর করে একটা মানুষ কিভাবে হাটে আসলে ওকে মানুষ বলাটা ঠিক হবে না বলতে হবে যেন আল্লাহর নীজ হাতে বানানো একটা পরী।
-এই,
-হুম,
-আই ল্যাভ ইউ(I love u)
-যা শয়তান,
-এমন কেনো করো? প্লিজ বলোনা "
-যা শয়তান ল্যাভ ইউ টু(love u too)
*আমরা প্রায় একে অপরের সাথে দুষ্টুমি করতাম যেমন ওর চুল আচরে দিতাম,চোখে চোখে ওর সাথে কথা বলতাম।ও প্রায় আমায় কথায় কথায় শয়তান বলত কিন্তু এটা আমি বিশ্বাস করতাম যে দোলন আমায় খুব ভালবাসে,
-ওই,
-কি?
-হাতটা একটু ধরি?
-না,
-কেনো ?
-এমনি ই,
-যাও তাহলে তোমার সাথে কোন কথা নাই,
*ততক্ষনে হঠাৎ দোলন আমার হাতটা শক্ত করে ধরে এবং বলল
-এ হাত কখনো ছেড়ে দিবে না তো?
তার মাঝেই আমি আমার চোখ নামের বস্তুটির কোনে পানি অনুভব করতে পারলাম,
-না দোলন না, আমি তোমাকে এ জীবনে ও ভুলতে পারব না, জানো দোলন কেনো জানি আমার শুধু তোমায় নিয়ে ভয় হয় যেন কেউ আমার দোলন কে আমার কাছ থেকে কেরে নিতে চাইছে;
-না আষাঢ়,আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারব না,আমি তোমাকে ভালবেসেছি এবং চিরদিন ই ভালবেসে যাব।
*ততক্ষনে আষাঢ় মাসের বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল,আর বৃষ্টিই বুধয় আমাদের প্রেমের চির সাক্ষী হয়ে থাকবে,আমি দোলনকে এতটা ভালবাসি যে সেটা যদি আমি কোন ভাষায় কাউকে বুঝাতে যাই তাহলে বুধয় সে ভাষার শব্দগুচ্ছ শেষ হয়ে যাবে তবুও আমার ভালবাসার কথাগুচ্ছ শেষ হবে না।
-হ্যালো দোলন,
-হ্যা গো বলো,
-আজ একটু দেখা করতে পারবে?
-না গো,আজ আম্মুর শরীর খারাপ তাই বাসার সব কাজ একাই করতে হচ্ছে,
-তাহলে আগামী কাল একটু দেখা করো প্লিজ তোমার সাথে কিছু দরকারী কথা আছে
-ঠিক আছে,
""পরদিন""
-আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই দোলন,
-আমি ও কিন্তু আমার বাবা/মা কি তোমার সাথে আমার এ সম্পর্ক মেনে নিবে?
-কেনো মেনে নিবে না?
-কারন কোন বাবা/মা ই চায় না তার মেয়েকে বেকার ছেলের কাছে বিয়ে দিতে,
-হুম,ও তোমাকে যে জন্য ডেকেছি সেটা হল"আমি দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছি,আগামী শনিবার আমার ফ্লাইট।
-যাও ফাইজলামি করো না তো,
-আমি সত্তিই বলছি,আমি দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছি,
*আমি স্পষ্ট দোলনের চোখে পানি দেখতে পাচ্ছি,দোলন আমায় কি যেনো বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছেনা,কারন তার চোখের কান্নাই দোলনের কথাকে বার বার থামিয়ে দিচ্ছে,
-তুমি চলে গেলে আমি কি নিয়ে থাকব?
-আরে বোকা আমি কি একে বারেই চলে যাচ্ছি নাক?আমি তো তোমার সাথে যোগাযোগ রাখবোই,তাছাড়া একটু আগেই তো তুমি বললে যে তোমার বাবা/মা তোমাকে কোন প্রতিষ্টিত ছেলে ছাড়া বিয়ে দিতে চাইবে না,আমি বিদেশ থেকে ফিরে এসেই তোমাকে বিয়ে করে ফেলব। কিগো এই হতবাগা টার জন্য একটু অপেক্ষা করতে পারবে তো?
*দোলন আমায় জরিয়ে ধরে কাদঁতে কাদঁতে বলছে"আমি তোমার জন্য চিরদিনই অপেক্ষা করতে পারব,চিরদিনই অপেক্ষা করতে পারব"
*আমি এখন প্লেনের ভিতরে আছি,মানে আকাশে ভাসছি,ইশ আমার সাথে যদি এখন দোলন ও থাকত তাহলে কতইনা ভাল হত,খুব মন চাচ্ছে যে দোলনের সাথে একটু কথা বলি কিন্তু প্লেনের ভিতরে তো সিম কার্ড ওপেন করা নিষেধ ,অবশেষে পৌছে গেলাম আমেরিকায়,পৌছার সাথে সাথেই দোলনকে জানালান যে আমি পৌছে গেছি তার সাথে অনেকক্ষন কথা হল,তারপর বাড়ির সবাইকে জানিয়ে দিলাম আমার পৌছে যাওয়ার কথা আর মাঝেই দোলনের সাথে দিনে প্রায় ২-৩ বার মোবাইলে কথা হত। কিন্তু প্রায় ২বছর পর একদিন হঠাৎ করে দোলন তার সিম কার্ডটা অফ করে ফেলে,আমার আর ভাল লাগছিল না শুধু একটা পশ্নই ভেশে উঠে বার বার বার যেন কেনো সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল?দোলনের বাসার সাথে থাকত আমার এক ঘনিষ্ট ফ্রেন্ড আর তার নাম ছিলো"অর্ক"কিন্তু অর্কের ফোন নাম্বার ও আমার কাছে ছিলো না তাই দোলনের সম্পর্কে আর কিছুই জানতে পারলাম না।কিন্তু পরে মনে হল দোলনকে ফেইজবুকে মেসেজ দেওয়ার কথা কিন্তু না পারলাম না কারন ওর আইডিটা ডিএকটিভ ছিলো।এভাবে অনেক প্রশ্নকে হাতে নিয়ে কেটে গেলো দীর্ঘ ৩টি বছর আর তার মাঝে ১বছর দোলনের সাথে কোন যোগাযোগ নেই।২সপ্তাহ ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসব ভাবছিলামার তার মাঝে দোলনকে বিয়ে করে চলে আসব তাও ভাবছিলাম।কালকে বিকাল ৪টায় আমার ফ্লাইট আর তার মাঝে বাড়ির কাউকে জানাইনি যে আমি আসব কারন আমি বাড়ির সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে চাচ্ছি,
-আম্মু,আম্মু
-আরে খোকা তুই,
-কেমোন আছ আম্মু?
-হুম ভাল কিন্তু তুই আসবি তা আমাদের জানাসনি কেনো?
-আমি তোমাদের সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছি তাই।
*বাড়ির সবাইকে ভালো মন্দ জিজ্ঞাস করে, পরদিন সকালে রওনা দিলাম সেই চিরচেনা দোলন এর এলাকার উদ্দেশ্যে,তাদের এলাকায় যেতে না যেতেই অর্কের সাথে দেখা হল(অর্ক আমার ঘনিষ্ট ফ্রেন্ড)অর্ক আমায় দেখেই কেঁদে দিল আর আমিও ওকে দেখে না কেঁদে থাকতে পারলাম না ,আর সাথে অনেক কথা বলার পর জিজ্ঞাস করলাম সেই চিরচেনা দোলনের কথা আর তাছাড়া অর্কও জানত যে আমি দোলনকে কতটা ভালবাসি,
-দোস্ত,দোলনের কি খবর রে?
-ভাল,
-ওর সাথে একটু দেখা করিয়ে দিতে পারবি?
-না,
-কেনো?
-ওর বিয়ে হয়ে গেছে,
*আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরল আমি আর নিজের অস্তিত্ব খুজে পাচ্ছি না,একটু পর নীজেকে একটা ঘরে দেখতে পেলাম আর আমার পাশে বশে আছে অর্ক আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম এখন থেকে ৩বছর আগের দোলনের মুখের কথা গুলো যে দোলন ই আমায় বলতো আমি যেন ওকে কখনো ছেড়ে না যাই, কিন্তু সেই দোলনই নাকি অন্য কারোর সাথে সংসার করছে। অর্কের কাছ থেক্র জানতে পারলাম অর্ক নাকি দোলনকে একদিন আমার কথা জিজ্ঞাস করেছিল তাতে দোলন নাকি বলেছিল যে"যাকে ভালবাসতে হবে তাকেই যে বিয়ে করতে হবে সেটাতো নয়,তাছাড়া আমার যার সাথে বিয়ে হচ্ছে সেও কিন্তু দেখতে শুনতে খারাপ না"অর্কের সাথে কথা শেষ করে অর্ক আমায় বাসায় পোছে দিল,তার মাঝেই আমার ছুটি ও শেষ তাই আমি আবার আমেরিকায় চলে গেলাম তার পর কাজে মন বসাতে কষ্ট হচ্ছিল
৩বছর পর
-হ্যালো আম্মু কেমন আছ?
-ভাল,তুমি?
-হুম ভাল,
-আম্মু আমি দেশে আসব আগামী ফ্রেব্রুয়ারী মাসের ৪তারিখ।
-ওকে বাবা এসো।(এভাবে বাড়ির সবার সাথে কথা হল)
*আজ সকাল ৯টায় আমি বাংলাদেশে এসে পোছলাম,বাড়ির দিকে রওনা হলাম ,আমাদের এলাকায় পৌছার সাথে সাথে আমার অর্কের সাথে দেখা হয়, আমি গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে ওর সাথে ভাল মন্দ জিজ্ঞাস করলাম,আমি লক্ষ করলাম যে অর্ক আমায় কিছু বলতে চায় কিন্তু বলতে পারছে না,আমি জিজ্ঞাস করলাম,
-কিছু বলবি?
-হুম
-বল?
-দোলনের দুটো কিডনি ই নষ্ট হয়ে গেছে আর ও মৃত্তুর সাথে লরাই করছে,ও বুধয় আর বাছবে না রে জারন এপর্যন্ত কিডনি যোগার করতে পারে নি,
-কোন হাসপাতালে আছে?
-ঢাকা মেডিকেলে,
*অর্ককে বিধায় দিয়ে আমি আবার পিছনের দিকে মানে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম অবশেষে ঢাকা মেডিকেলে পোছার পর দোলনের সেই মায়াময় চেহারাটা একটু দেখলাম যে মেয়েটা আগের থেকে অনেক শুকিয়ে গেছে,ঠোট দুটো যেন কাপছে,আমি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের রুমে গিয়ে ডাক্তারকে বললাম,
-দোলনকে আমি একটা কিডনি দিতে চাই,কিন্তু আমার একটা শর্থ আছে
-কি শর্থ ?
-দোলনের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমি দেব,
-কিন্তু কেনো?
-আমি ডাক্তারকে আমার আর দোলনের রিলেশনের সব কথা জানালান।
*আমি ডাক্তারের চোখের কোনে কিছু পানি দেখতে পেলাম আর তিনি বলল আসলেই আপনার মত মানুষ হয় না,তারপর আমি ডাক্তার সাহেবকে বললাম যে আজ রাত ১২টায় অপরেশন শুরু কারুন আজ ফ্রেব্রুয়ারীর ৪তারিখ আর ১২টার পর হবে ফ্রেব্রুয়ারীর ৫তারিখ,আর সেই ৫তারিখেই দোলনের জন্মদিন হয়তো তার এ জন্মদিনে আমি তাকে একটা কিডনি দিচ্ছি যেটা সে জানবে না। অবশেষে অপরশন শেষ আর আমি একটু সুস্থ হয়ে বাসায় চলে এলাম আর আমার ছুটিও প্রায় শেষ,আজ বিকাল ৪টায় আমার ফ্লাইট তাই আমি একদিন আগেই এয়ার ফুট চলে এসেছি।আর ওদিকে দোলন ও আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে ডাক্তারকে চাপ দিতে লাগলেন যে তার কিডনি কে দিলন?ডাক্তারও চুপ থাকতে পারলেন না তাই সব বলে দিলেন আর সে সব কথা শুনে কান্না স্বরে সে জিজ্ঞাস করল আষাঢ় এখন কোথায়? ডাক্তার বলল আজ বিকাল ৪টায় তার ফ্লাইট,দোলন তাড়াতাড়ি করে এয়ার ফুটের উদ্দেশে রওনা দিলো এবং অবশেষে
এয়ার ফুটে পোছে আমায় খুজে বের করল আর তখনি প্লেন ছাড়ার বাকী মাত্র ১০মিনিট,দোলন দৌড়ে আমার কাছে আসতে লাগল আর আমি ওকে কিছু বলার সোজুখ না দিয়েই আমি প্লেনে উঠে গেলাম।
আজ আমার মন চিৎকার করে বলতে চাইছে ----
দোলন নিশ্চয় এখন তুমি কাদছ হয়তো তোমার এ কান্নার দাম আমার কাছে ছিলো কিন্তু এখন নেই কারন তুমি আমায় যে পরিমান কাদিয়েছো সে কান্নার কাছে তোমার কান্না হয়তো মূল্যহীন,তুমি হয়তো আমায় ভুলেই গিয়েছিলে কিন্তু এখন আর ভুলতে পারবে না কারন আমার শরীরের অংশ যে তুমি ভয়ে বেড়াবে চিরোকাল তাই আজ আমি তোমাকে না পেয়েও নিজেকে সার্থক মনে করছি।
ব্যক্তি : তোমার মেয়েকে বিয়ে দিবা?
বাবা : ক্যান?মেয়ে আমার কোন ক্ষতি করছে?
ব্যক্তি : না মানে,ভাল ছেলে আছে
বাবা : খুবই ভাল কথা,তোমার ঘরে মেয়ে আছেনা?আশেপাশেও আছে,দিয়ে দাও
ব্যক্তি : ভুল করতেস,মেয়ে বড় হইসে,ভাল ছেলে পরে পাবা না
বাবা : দেখা যাক,আমার মেয়ে ওর বাপেরটা খায়,এখানে আমার বলার কিছুই নাই,ওর বাপের উপর আমি আর কি বলবো!!
ব্যক্তি : মেয়ে আজ হোক কাল হোক বিয়েতো দিবাই
বাবা : অবশ্যই দিব,তুমিও আইসো দাওয়াতে,তবে হ্যা,যতদিন আমার মেয়ে আমার কাছে থাকতে চায়,সে থাকবে,এরপর আর কোনো কথা হবেনা
ব্যক্তি : -_-
বাবা : (মন ভরা হাসি)
এই মানুষটা এতওওওওও ভাল ক্যান? ^_^
ভালবাসি বাবা,অনেক বেশি বাসি :* ছোটো কালে কেউ এই মানুষটা কে নিয়া কিছু বললেই বলতাম এটা
"আমার বাবা" ^_^ :* এখনও অভ্যাসটা যায়নাই :p সত্ত্যিইইই তুমি শুধুই আমার "বাবা"
[জাপান কাহিনি]


মাছ চাই না বড়শি চাই? প্রডাক্ট চাই নাকি টেকনোলজি চাই?
এটা একটা জনপ্রিয় চাইনিজ ছোট গল্প।
ছেলে মাছ খেতে চাইলো।
মাছ দিলে, সে একদিনই মাছ খাবে। সাময়িকভাবে খুশি হবে। গদ গদ হয়ে বাবার গলায় ধরে বলবে উঅ আই নি (আই লাভ য়ু)। তুমি এত্তো গুলো ভাল কেন?
বাবা তাকে সেই সুযোগ দিলেন না। মাছ না দিয়ে ধরিয়ে দিলেন একটা বড়শি। মাছ ধরা শিখিয়ে দিলেন।
ছেলের প্রথম কয়েকটা দিন কষ্টে কাটলো। কিন্তু মাছ ধরার টেকনিক টা জানার কারণে সে সারা জীবন মাছ খেতে পারলো।
আপনি কি চাইবেন? মাছ? নাকি মাছ ধরার কৌশল?
(১)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের হাতে কী ছিল? আমেরিকানদের লক্ষ লক্ষ বোমার আঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া ৪৭ টা বিভাগীয় শহর ছিল। যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি কোন অবকাঠামোই তো অবশিষ্ট ছিল না। ছিল না তেমন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ।
তাহলে? দেশটা গড়ে উঠলো কিভাবে?
বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিল। সেই টাকা দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসার অবকাঠামো তৈরি করলো। শিনকানসেন (পৃথিবীর দ্রুততম ট্রেন) টানলো, বড় বড় শহর গুলোকে হাই ওয়ে দিয়ে কানেক্ট করলো। শত শত ফ্লাই ওভার তৈরি হলো, পাহাড়ের ভেতরে সমুদ্রের নীচে টানেল তৈরি হল। মজার ব্যাপারটি হলো - বিদেশ থেকে কোন লেবার আমদানি করলো না। কোম্পানি গুলোর ম্যানেজার বাইরে থেকে আনলো না।
তয়োতা, হোন্দা, তোসিবা, সনি, হিতাচি এমন শত শত কোম্পানি কাজ করে দিল নিজেদের লোক দিয়ে। সি,ই, ও থেকে শুরু করে ম্যানেজার, লেবার সবই জাপানি। নিজেদের কর্মদক্ষতা বাড়লো, অভিজ্ঞতা বাড়লো। এই কোম্পানি গুলো কোথাও টেন্ডারে অংশগ্রহণ করলে বা কোন কর্মচারি চাকুরীতে আবেদন করলে কেউ বলতে পারবেনা- যাহ তোদের অভিজ্ঞতা নেই, আগে অভিজ্ঞতা নিয়ে আয়, তারপর প্রজেক্ট/চাকুরী।
জি,ডি,পি হু হু করে বাড়তে লাগলো।
ধারের টাকা ফেরত দিয়ে ২০ বছরের মাথায় আমেরিকাকে, বিশ্বব্যাঙ্ককে উল্টা ঋণী করে ফেললো। শুরু থেকেই জাপান বাইরে থেকে কোন প্রডাক্ট কেনে নি। টেকনোলজি আমদানি করেছে।
ধরুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যকলাপ ধারণ করার জন্য ক্যামেরা লাগবে। ওনারা তিনজন নয় ছয়জন লোক পাঠাবেন। ক্যামেরা যাচাই বাছাই করার জন্য নয়। ক্যামেরা কিভাবে বানাতে হয় সেই টেকনোলজি শিখে মগজে ভরে আনার জন্য। যেন দেশে এসে শুধু প্রধানমন্ত্রীর জন্যই নয়, সাধারণ জনগণ ও এফোর্ড করতে পারে এমন ক্যামেরা বানাতে পারেন।
মাছ চাইলেই মাছ নয়, মাছ ধরার কৌশলটা শিখিয়ে দাও।
(২)
মালয়েশিয়ার মাহাথির মুহম্মদ জাপানে পড়াশুনা করেছেন। ক্যাপাসিটি বিল্ড করার জাপানিদের এই কৌশলটি শিখে গেলেন। আশি দশকে নব্বই দশকে স্ট্রাটিজিক্যালি দলে দলে মালয় গোস্টি কে বিদেশে পাঠালেন। পড়াশুনার জন্য। স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য। আমেরিকা, ইউরোপ আর জাপান। বিদেশ থেকে ফেরার সাথে সাথেই সেই বিদ্যা কাজে লাগানোর মত জায়গায় সেট করে দিলেন। প্রোডাক্টিভিটি বাড়ল, আয় বাড়ল। ম্যানেজার শ্রেণীর লোক তৈরি হল। বিদেশ থেকে যা আমদানি করলো তা হল লেবার শ্রেণীর লোক। যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসার অবকাঠামো তৈরি হল। নিজের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ালেন।
এখন আর মালয় ছাত্রদের তেমন বিদেশে যেতে হচ্ছে না। বরং বাইরে থেকে মালয়েশিয়াতে বিদেশি ছাত্র আসা শুরু করেছে।
চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে না। মাহাথির মুহম্মদ নিজের চিকিৎসার জন্য বাইরে না গিয়ে নিজ দেশে হাসপাতাল বানানোর কিচ্ছা সবার জানা।
জাপানি কোম্পানি গুলো কে ইনভেস্ট করার উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করে দিলেন। জাপানিরা ইনভেস্ট করলেন। গাড়ি কোম্পানি, হোম ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি। মাহাতির এর দল স্ট্রাটিজিটা এমনভাবে করলেন যাতে টেকনোলজিটা ট্রান্সফার হয়। স্কিল ডেভেলপমেন্ট টা হয়। ৫০ বছরে জাপান যা টেকনোলজি ডেভেলপ করেছে তা যেন ৫ বছরে ট্রান্সফার হয়।
তার ফলাফল দেখেন। ৮৫ এর দিকে মালয়েশিয়ান ব্র্যান্ড এর প্রোটন সাগা (মিতসুবিশি জয়েন্ট ভেঞ্চার) গাড়ি বাজারে এলো।
আর আমরা আমাদের মন্ত্রী, এমপি দের জন্য বিনা ট্যাক্সে কিভাবে গাড়ি আমদানি করতে পারি সেই পলিসি বানিয়ে দিলাম। অথচ আমাদের প্রগতি, র‌্যাংগস ওনাদের দিয়ে গাড়ির ১০% জিনিস ও তৈরি করে শুরুটা করলে কেমন হতো? ইতিমধ্যে মেইড ইন বাংলাদেশ একটা ব্র্যান্ড বেরিয়ে আসতো না? কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হতো না? টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট, স্কিল ডেভেলপমেন্ট হতো না? সেই শুরুটা আজো সম্ভব। বেটার লেইট দ্যান নেভার।
ক্যামেরা থেকে শুরু করে হোম-ইলেক্ট্রনিক্স এর এমন কোন জাপানি প্রোডাক্ট নেই যা মেইড ইন মালয়েশিয়া লেখা নেই। গত সপ্তাহে ম্যানচেষ্টার থেকে জাপানি ফ্লাইটে করে জাপান ফিরছি। মুসলিম হালাল ফুড অর্ডার দিয়ে রেখেছিলাম। দেখি বাক্সে হালাল একটা সিল দেয়া। লেখা Certified by MHCTA (Malaysian Halal Consultation and Training Agency)।
(৩)
গত জুন মাসে তাইওয়ানে গিয়েছিলাম। একটা Social Business Entrepreneurship Contest এর বিচারক হয়ে। ইংল্যান্ড থেকে এসেছিলেন আরেকজন বিচারক। কন্টেস্ট শেষে ডিনার টেবিলে বিচারকদের মধ্যে একটা আড্ডা হচ্ছিল।
কথা হচ্ছিল- একটা দেশে সরকারের ভূমিকা কি হতে পারে সে নিয়ে। ওনার কথা হলো সরকারের কাজ হবে তিনটি - (ক) ট্যাক্স কালেক্ট করবে (খ) পলিসি তৈরি ও মনিটর করবে আর (গ) রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখবে।
একটা গণতান্ত্রিক সরকার এই তিনটি কাজই ভাল করবে। অন্য কোন কাজে হাত দিতে গেলেই ব্যর্থতা আসবে। দেশের স্বার্থের চেয়ে দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে। রামপাল নিয়ে এতো চিল্লাচিল্লি কেন?
(৪)
২০১০ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে যাবার সুযোগ হয়েছিল। বাংলাদেশের একজন নামকরা অর্থনিতিবিদ গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। জেমস ওয়াট নামের যে বৈজ্ঞানিক স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কার করেছিলেন, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন ইন্সট্রুমেন্ট মেকার ছিলেন। গ্লাসগো শহরটা ঘুরিয়ে দেখালেন। শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ওয়াটার সাপ্লাই, পার্ক, টাউন হল ইত্যাদি। গ্লাসগো সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন টা তৈরি হয়েছে ১৮৭৯ সালে। অন্যান্য অবকাঠামো গুলোও একই সময়ের তৈরি। বৃটিশ সরকার আমাদের দেশ গুলো থেকে ট্যাক্স কালেক্ট করেছেন আর ব্যয় করেছেন জনস্বার্থে। অর্থনিতিবিদ বললেন, আর আমাদের অবস্থা দেখেন- শাহজাহান সাহেব আমাদের অবকাঠামোতে মনোযোগ না দিয়ে বানালেন তাজমহল, নিজের জন্য। জনগণের জন্য নয়। সায়েস্তা খা টাকায় আটমন চাল খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। যারা কিনল তাদের উপকার হলো, কিন্তু যে চাল তৈরি করলো সেই কৃষকের বারোটা বাজলো। আটমন চাল মানে ১৪ মন ধান। ১৪ মন ধান বিক্রি করে মাত্র এক টাকা আয় হতো। গরিব কৃষক গরিবই রয়ে গেল।
(৫)
১৯৯৬ সালের কথা। ভারতে আইটি সেক্টরে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বেড়েই চলছে। ভারতের সরকার বড় তিনটি কোম্পানির প্রধান দের ডাকলেন। ইনফোসিস, টাটা আর আজিম প্রেমজির উইপ্রো কে। ডেকে বললেন, দেশের উন্নতির জন্য আপনাদের কন্ট্রিবিউশন অনেক। সরকারের কাছে কি আপনাদের কিছু চাওয়ার আছে? তিন কোম্পানিই অবাক হলেন। বললেন, আমাদের একমাস সময় দেন। আমরা একটা লিস্ট দেবো। ওনারা এক সপ্তাহ পরেই একটা উইশ লিস্ট দিলেন। তিন কোম্পানির তিন দাবি- (ক) Stay away from us (খ) Stay away from us (গ) Stay away from us।
আইটি সেক্টরে আমাদের দেশের সরকারের ভূমিকা কি হওয়া উচিত? এ নিয়ে নিশ্চয়ই অনেক গবেষণা হচ্ছে। কোন লিঙ্ক আছে?
জাপানের জাইকা আমাদের অনেক সাহায্য করেন। আমরা খুশি। এই খুশিটাকে স্বল্পমেয়াদী না করে দীর্ঘ মেয়াদী করা চাই। শুনে থাকবেন বছর দুই আগে জাপানি সরকারের সাথে আমাদের ৬০ বিলিয়ন ইয়েন এর একটা চুক্তি সই হয়েছে। বলেন তো দেখি এই টাকা কি সাহায্য? নাকি ধার? ধার নিচ্ছে কে ফেরত দিচ্ছে কে? আমরা যদি ধারই নিয়ে থাকি, তাহলে এই টাকাটা কন্ট্রোল করছে কে? প্ল্যান করছে কে, ইমপ্লিমেন্ট করছে কে? কতটাকার প্রোডাক্ট কিনছি? কত টাকার টেকনোলজি কিনছি? কতটাকার স্কিল ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে? টাকাটা ফেরত দিচ্ছি কবে?
জাপান আমাদের একটা বন্ধু দেশ। প্রোডাক্ট না চেয়ে টেকনোলজি চাইলে ওনারা "না" করবেন না। আমরা মাছ চাচ্ছি নাকি মাছ ধরার টেকনোলজি চাচ্ছি, এই সিদ্ধান্ত দেয়ার দায়িত্ব আমাদের।

রতনে রতন চিনে



মোবাইল কোম্পানির একটা বিশেষ অফার ৬ টাকায় ১জিবি ইন্টারনেট ব্যবহার করছিলাম আমি আর আমার রুম মেট।গত মাসের ২৯ তারিখ।
পকেট মোটামুটি খালি।ছিল মাত্র ১১০ টাকা।বাসা থেকে অন্য মাসের তুলনায় বেশি টাকা নিয়ে এসেছি, তাই লজ্জায় টাকা চাইতেও পারছিলাম না।তো যাই হোক ঐদিন সকাল বেলা টিউশনিতে যাওয়ার সময় আমার রুমমেট আমাকে বললেন যে উনার মোবাইলে ৬ টাকা রিচার্জ করে দিতে।রাস্তায় বের হয়েই দোকানে গিয়ে বললাম ''ভাই ৬ টাকা রিচার্জ করা যাবে''।দোকানদার আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে " না " বলেছিলেন যে, যেকেউ উনার চাহনি দেখলে মনে করবে হয়তো আইফোন 7 কেনার জন্য আমি উনার কাছ থেকে উনার কিডনির অর্ধেকটা চেয়ে বসেছি তাই উনি আমাকে এইভাবে না বলেছেন।মনে মনে কিঞ্চিত টেনশন নিয়ে পরের দোকানে গেলাম, উনি ৬ টাকার জায়গায় ১০ টাকা চেয়ে বসলো।
ধুর, রাগ করে বেরিয়ে আসলাম। পরের দোকানে যাওয়ার আগে মনে মনে চিন্তা করলাম দোকানে গিয়ে টাকার কথা বলবো না,আগে নাম্বার লিখিয়ে নেব।যেই ভাবা সেই কাজ গেলাম পরের দোকানে(ঐ দোকানে বিকাশও করা যেত) ২ টা নাম্বারও লিখিয়ে নিলাম,পরে যখন টাকা দিতে গেলাম তখন দোকানদার বিরক্তিভরা মুখে বলল ৬ টাকা রিচার্জ করতে ১০ টাকা দিতে হবে।মনে মনে বললাম সব বুদ্ধিই মাটিতে গেল।
এই অভাবের দিনে ৮ টাকাই অনেক কিছু ছিল।রিচার্জ কনফার্ম করার জন্য দোকানের সামনে দাড়িয়ে আছি তখন হঠাৎ মেন্টস না খেয়েই আমার বুদ্ধির বাত্তি জ্বলে উঠলো, ভাবলাম দোকানদার আমারে আর্থিক কষ্ট দিছে আমি ওরে হিমু স্টাইলে মানুষিক কষ্ট দিবো।চিন্তা করতে করতেই কোন ধরনের রিংটোন বাজা বা ভাইব্রেশন ছাড়াই আমার ফোনে কল এলো (বিঃদ্রঃ-এই কল শুধু মোশাররফ করিমের বাটপারির নাটক গুলাতেই আসে) ।পকেট থেকে ফোন বের করে কল রিসিভ করেই আমি বললাম" কি মিয়া টাকা কখন দিবা??
বলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার বললাম,পারলে এখনই দাও জরুরী দরকার আছে।
আবার ব্রেক নিয়ে বললাম -"২০ হাজার টাকা পাই ১৯ হাজার কেনো পুরোটাই দাও। (দেখলাম দোকানদার আমার দিকে তাকালো,মনে মনে ভাবলাম ভেল্কি লাগিয়ে দিছি)
আবার ১০ সেকেন্ডের মত অপেক্ষা করে এবার আমি দোকানদারের দিকে তাকিয়ে ফোনে বললাম-"আমি বিকাশের দোকানে গিয়ে তোমাকে কল দিচ্ছি। (দোকানদারের বিরক্তি ভরা মুখে দেখলাম হাসি ফুটে উঠলো)
পরে "OK " বলে ফোন পকেটে ফোন রেখে দিলাম,এবং পরের দোকানের দিকে হাটা শুরু করলাম ।সাথ সাথে দোকানদার আমাকে ডাক দিয়ে বলল "মামা আমার দোকান থেকেই বিকাশ করতে পারবেন"।আর আমিতো খুশি খুশি ভাব নিয়ে দোকানদারের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম।দোকানদারও মুখে মেকি হাসি নিয়ে আসলো।পরে আমি উত্তর দিলাম-"মামা জানি আপনার দোকানে বিকাশ করা যায়,কিন্তু তার পরেও আপনার দোকান থেকে বিকাশ করবো না।
দোকানদার জিজ্ঞাস করলো-"কেন মামা?"
আমি হেসে উত্তর দিলাম-"আপনি মামা আমার ৮ টাকা খাইদিসেন সেজন্য,আপনার কাছ থেকে বিকাশ করবো না।বলেই আবার হাটা শুরু করলাম আর দেখলাম দোকানদারের মুখ মেঘলা আকাশের মত কালো হয়ে গেল। আমিতো বিরাট খুশি মনে মনে, যাই হোক একটা কাজের মত কাজ করলাম। আমার প্ল্যান সাক্সেস হইসে।পরে ঐ দোকানদারের মনের দুঃখ আরেকটু বাড়িয়ে দিতে রাস্তার অন্য পাশের আরেকটি দোকানে গিয়ে দোকানদারকে নিচু স্বরে জিজ্ঞাস করলাম "মামা টেলিটকের ৭৭ টাকার MB কার্ড আছে "(যদিও আমি সিওর ঐ ধরনের কার্ড টেলিটক কোম্পানি আবিষ্কার করে নাই)
দোকানদার উত্তর দিল "না মামা নাই"।পরে কি আর করা আবার আগের দোকানের দিকে ফিরে আসতে লাগলাম,দোকানদারও আমি ফেরত আসছি দেখে খুশি।দোকানদারের দিকে তাকিয়ে হেটে আসার সময় রাস্তা পার হওয়ার পর হঠাৎ থামলাম,আমার সাইকেলের তালা খুললাম এবং আমার টিউশনিতে রওনা হলাম।
আর দোকানদারের মনের ভিতর পোকা ঢুকিয়ে দিয়ে আসলাম।
প্রতিবেশীর কুকুরটার চিৎকারে বিরক্ত এক দম্পতি। এক মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠেই গেলেন বাড়ির কর্তা। বললেন, অনেক হয়েছে। আজ এর একটা বিহিত করতে হবে। বলেই হনহন করে বেরিয়ে গেলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ফিরলেন। স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, কি হেনস্তা করে এলে, শুনি? কর্তা: কুকুরটাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছি। এবার বুঝুক, প্রতিবেশীর কুকুরের চিৎকার কেমন লাগে!
অহংকার পতনের মূল

মানুষের অহঙ্কার কখনই চিরস্থায়ী নয় । সেরকম একটা ঘটনা দেখলে বুঝতে পারবেন। এক যুবক নতুন বিয়ে
করল। বিয়ের প্রথম দিনই স্বামী
স্ত্রী যখন খেতে বসল। এমন সময় এক
ভিক্ষুক হাজির হল। ভিক্ষুকটি খুব
ক্ষুধার্ত ছিল এবং কিছু খাবার
চাইল। স্বামী খুব রাগান্বিত হলো
এবং ভিক্ষুকটিকে অকথ্য ভাষায়
গালমন্দ ও অপমান করে তাড়িয়ে
দিল।
অসহায় ভিক্ষুক চলে গেল। কিছুদিন
পর স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হল।
এক পর্যায়ে তাদের সংসার
ভেঙ্গে গেল। স্বামী স্ত্রীকে
তালাক দিয়ে দিল। স্ত্রী বাপের
বাড়ি চলে গেল ।
কয়েক বছর পর মেয়ের বাবা অন্য
এক জায়গায় মেয়ের বিয়ে দিল।
নতুন স্বামীর সাথে শুরু হল তার
জীবন। মেয়েটির দ্বিতীয় স্বামী
প্রথমটির চেয়ে অনেক ধনী ছিল।
একদিন স্বামী স্ত্রী খেতে বসল।
ইতিমধ্যে একজন ভিক্ষুক আসল।
স্বামী স্ত্রীকে বলল ভিক্ষুককে
ভিক্ষা দিয়ে আসো আমরা এখন হয়
পরে খেতে পাবো কিন্তু সে পাবে
কোথায় ? যখন স্ত্রী ভিক্ষা দিতে
গেল তখন সে অবাক হয়ে গেল !
কারণ ভিক্ষুকটি ছিল তার প্রথম
স্বামী। মেয়েটি চোখের পানি
রাখতে পারল না। মেয়েটি তার
দ্বিতীয় স্বামীকে বলল আমি
আপনাকে এক আশ্চর্য ঘটনা
শুনাবো। তারপর মেয়েটি তার প্রথম
স্বামীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি
বলে দিল ।
তখন দ্বিতীয় স্বামী চোখের পানি
ছেড়ে দিয়ে বলল আমি তোমাকে
এর চাইতেও আশ্চর্য ঘটনা শুনাবো।
তুমি হয়ত শুনে অবাক হবে যে , ঐ
দিন তোমরা যে অসহায় ভিক্ষুককে
তাড়িয়ে দিয়েছিলে সেই অসহায়
লোকটি আমি। যিনি আজ তোমার
ধনী স্বামী।
উপদেশ: গরীব মুহূর্তের মধ্যেই ধনী
এবং ধনী মুহূর্তের মধ্যেই গরিব হতে
পারে। তাই কখনো বাড়ি -
গাড়ি, টাকা- কড়ি নিয়ে অহংকার
করা উচিত নয়। অহংকার পতনের মূল
আললাহ না করুন এই রকম খারাপ
কাজ জেন আমাদের দারা না হয়
আমরা না খেয়ে যেন মানুষ কে
খাওয়াতে পারি সেই তৌফিক দান
কর।