Tuesday, January 10, 2017

বিজ্ঞান এর কিছু মজার তথ্য.



খরগোশ ও টিয়াপাখি দুটোই খুব সুন্দর প্রাণী। অনেকেই এগুলো বাসায় পোষে। তবে বাসায় থাকা খরগোশ বা টিয়াকে পেছন থেকে চুপি চুপি এসে চমকে দেওয়ার চেষ্টা বৃথা। কারণ এই দুটি প্রাণী মাথা না ঘুরিয়েও পিছনে কী ঘটছে দেখতে পায়।
.

কোনো খাবারের স্বাদ জানতে আমরা জিহ্বা ব্যবহার করি। চিন্তা করো তো প্রায় সব প্রাণীরই তো জিহ্বা আছে, তাই না। আচ্ছা হাত বা পা দিয়ে কখনো খাবারের স্বাদ জানা যায়! অবিশ্বাস্য মনে হলেও প্রজাপতি এই কাজটিই করে। প্রজাপতি কোনো খাবারের ওপর বসে পা দিয়ে এর স্বাদ নেয়। কারণ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে স্বাদ গ্রহণের গ্রন্থি থাকে জিহ্বায়। কিন্তু প্রজাপতির ক্ষেত্রে এই গ্রন্থি থাকে পায়ে।
.

প্রায় প্রতিদিনই তো বাসায় ঘর ঝাড়ু দেওয়া হয়। খেয়াল করে দেখো এর মধ্যে ধুলার মতো ময়লা থাকে। আর এই ময়লার মধ্যে তোমার শরীরের ত্বকের কোষও আছে। মজার বিষয় হলো, আমাদের বাড়িঘরের ধুলোর মতো গুঁড়ো ময়লার অধিকাংশই আমাদের শরীর থেকে ঝরে যাওয়া মৃত ত্বক কোষ।
.

আদিকালে পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়াত ডাইনোসরসহ বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী প্রজাতি। বৃহদাকৃতির ডাইনোসরের একটি প্রজাতি ছিল স্টেগোসাউরাস। প্রায় নয় মিটার লম্বা দাবনাকৃতির এই ডাইনোসর প্রজাতির মস্তিষ্ক ছিল কাঠবাদামের সমান।
.

খাটো বলে মন খারাপ। লম্বা হওয়ার এক বুদ্ধি বাতলে দিতে পারি। মহাকাশচারী হও, এতে একটু হলেও লম্বা হতে পারবে। বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি, মহাকাশে কিছুদিন টানা থাকলে উচ্চতা কিছুটা বাড়ে। মহাকাশে অভিকর্ষণ বল না থাকায় মানুষের শরীরের ওপর নিচের দিকে টান থাকে না। এ কারণে মানুষের উচ্চতা বাড়ে।
.

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রাণী ক্যাঙ্গারু আর ইমু পাখি। লাফিয়ে লাফিয়ে চলা আর পকেটে বাচ্চা রাখার জন্য ক্যাঙ্গারু সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। আচ্ছা ক্যাঙ্গারুকে কখনো পেছনে হাঁটতে দেখেছো কেউ। উত্তর হবে ‘না’। পায়ের গঠনের কারণে ক্যাঙ্গারু ও ইমু পাখি পেছনে হাঁটতে পারে না বললেই চলে।
.

চিড়িয়াখানায় জলহস্তী দেখেছো। বিশালদেহী প্রাণীটির পা বেশ ছোট হলেও এটি মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে দৌড়াতে পারে। আর দেখতে নিরীহ হলেও জলিহস্তী কিন্তু হিংস্রতম প্রাণীর একটি।
.

কাঁটাঘড়ি দেখেছো। তিনটি কাঁটায় দেখায় সেকেন্ড, মিনিট আর ঘণ্টা। এই ঘড়িতে ব্যাটারি না থাকলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও কিন্তু দিন-রাত মিলে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দুবার সঠিক সময় দেখায়।
( আমার টা ও.. tongue emoticon )
.

মানুষ কখনোই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দিতে পারে না। হাঁচি এলে মানুষের চোখ আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যায়।
.
১০
ইংরেজি বলায় অনেকেই বেশ সাবলীল। এই ইংরেজি বাক্যটি দ্রুত বলার চেষ্টা করে দেখো তো— Sixth sick sheik’s sixth sheep’s sick. 

Friday, January 6, 2017

প্রশ্ন:-সর্বপ্রথম আয়করের জন্ম কোন দেশে?
উত্তর:-ব্রিটেন (১৭৯৮ সালে)।

প্রশ্ন:-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কবে গঠিত হয়?
উত্তর:-১৯৭২।

প্রশ্ন:-ফাংশনাল কর ব্যবস্থা ও বৃহৎ করদাতা ইউনিট গঠিত হয় কবে?
উত্তর:-২০০৪।

প্রশ্ন:-জাতীয় আয়কর দিবস প্রবর্তিত হয় কবে?
উত্তর:-২০০৮।

প্রশ্ন:-আয়কর মেলার প্রচলন হয় কবে?
উত্তর:-২০১০।

প্রশ্ন:-e-payment ও ADR ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় কবে?
উত্তর:-২০১২।

প্রশ্ন:-E-TIN ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় কবে?
উত্তর:-২০১৩।

প্রশ্ন:-আয়কর সপ্তাহ প্রবর্তন হয় কবে?
উত্তর:-২০১৬।

প্রশ্ন:-ট্যাক্স কার্ডের মেয়াদ কত সময়?
উত্তর:-১ বছর।
➊ বাংলাদেশের কোন চলচ্চিত্রে সর্বপ্রথম জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়?
-জীবন থেকে নেয়া

➋ 'ফরাসি বিপ্লবের শিশু' বলা হয় কাকে?
-নেপোলিয়ন

➌ গ্রিসের পূর্বনাম কি ছিল?
-হেলাস

➍ ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়?
-জাপানকে

➎ 'মুখ ও মুখোশ' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
-আবদুল জব্বার খান

➏ হিজবুল্লাহ শব্দের অর্থ কি?
-আল্লাহর দল

➐ দেশে প্রথম মুসলমান চলচ্চিত্রকার?
-কাজী নজরুল ইসলাম

➑ কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম কি?
-নজরুল

➒ বাংলা চলচ্চিত্রের কোন অভিনেত্রী 'ডক্টরেট' ডিগ্রি লাভ করেন?
-ববিতা

➓ উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক কাকে বলা হয়?
-হীরালাল সেন

ছোট্ট একটা পৃথিবী, ভালোবাসার চাষ ছাড়া বড্ড শ্বাসরুদকর

রোগী দেখছিলাম। এক দম্পতি এলেন সাথে তাদের ছ'বছর বয়সী ছানা। মহিলার কানে সমস্যা। পাশের টুলে বসিয়ে পরীক্ষা করছি। ডেস্কের উল্টোপাশে ভদ্রলোক তার ছেলেকে নিয়ে বসেছেন। পুচকা খানিক এদিক যেতে চায়, খানিক ওদিক যেতে চায়, খনেক এটা ধরতে চায়, তো আবার ঐটা করতে চায়।
ত্যক্ত হয়ে ভদ্রলোক বললেন,"এহ বাবা, দুষ্টু করে না, ডাক্তার আংকেল পিট্টি দেবে...পাছার মধ্যে ইঞ্জেকশান দিয়া দিবে...তখন বুঝবা..."
আমি চুপচাপ শুনে গেলাম। ভদ্রমহিলাকে দেখা শেষ করে ব্যবস্থাপত্র লিখে তা বুঝিয়ে দিয়ে তাদের দু'জনকে বললাম,"আপনাদের হাতে কিছু সময় হবে আমাকে দেবার?"
দু'জনেই বললেন, "অবশ্যই হবে....কি যে বলেন না ভাই..."
আমি বললাম,"আমার কাছে আগেও এসেছেন, আজও এলেন। এখন পর্যন্ত আমি না আপনাদের সাথে রূঢ় ব্যবহার করেছি, না আপনার বাচ্চার সাথে, না আপনাদের সামনে অন্য কারো সাথে....এমনকি আপনার সন্তান যখন আমার ডেস্কের যন্ত্রপাতির ট্রে ওলটপালট করলো আমি আমার মত গুছিয়ে নিলাম, আপনাদের কিছু বললামও না। অথচ আপনারা আপনাদের বাচ্চাকে ডাক্তার আংকেল পিটাবে, পাছায় ইঞ্জেকশান দেবে, বল্লু কাটি দিবে- আরো কতকি বলেন...কেন বলেন এসব?"
তারা নিশ্চুপ।
আমি বললাম," আমরা যখন আমাদের বাচ্চাদের অপরিচিত-অর্ধপরিচিত লোকজনের সাথে পরিচিত না করিয়ে এ ধরনের ভীতিসঞ্চার করি, তখন তাদের সুস্থ, সুন্দর, প্রাকৃতিক সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তাদের কাছে অচেনা মানুষ মানেই খারাপ এমন ধারণা প্রতীয়মান হয়। এটা যে শুধু মানুষের ক্ষেত্রে হয় তা নয়। অনেককেই দেখবেন কুকুর, বেড়াল,পশুপাখি দেখলে ধাওয়া দেয়, ঢিল ছুঁড়ে, আঘাত করে, কষ্ট দিয়ে তাদের আর্তনাদ শুনে মজা নেয়। তার কারণ তারা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছে মানুষ ঠগবাজী করে, কুকুর কামড় দেয়, বিড়াল আচড় দেয়, মুরগী ঠোকর দেয়, গরু লাত্থি দেয়। তাই তাদের কষ্ট দিতে দোষ নেয়। এজন্য সমাজে হাসতে হাসতে মানুষের পায়ুপথে গ্যাস ঢুকিয়ে মেরে ফেলা, কুকুরের গায়ে গরম ভাতের মাড় ঢেলে দেওয়ার মত মানুষ বাড়ছে। চেষ্টা করবেন নতুন সবকিছুর সাথে আপনার শিশুকে একটা সুন্দর তথ্যসহ পরিচয় করিয়ে দিতে। তাতে আপনার শিশুর মনে ঝকঝকে এক রঙিন শৈশবের স্মৃতি সারাজীবন গেঁথে যাবে, সব মানুষকে তার আপন মনে হবে যার ফলে সবার ভালো করতে, সবার ভালো চাইতে তার আটকাবে না। যদি আপনার সন্তানের সামনে কেউ আপনার সাথে দূর্ব্যবহার করে, তাহলে বলবেন, দেখ বাবা, আংকেল আসলে খুবই ভালো, কিন্তু আজকে আংকেলের মন খারাপ, আমরা আংকেলের কাছে আরেকদিন আসব, এখন আংকেলকে একটা হাসি দাও তো....দেখবেন আপনার সন্তানের মিষ্টি হাসিতে, ছোট হাতের স্পর্শে দূর্ব্যবহারকারীর মনটা কিছুটা হলেও ভালো হবে..."
খানিক দম নিয়ে আবার বললাম, "অনেক কথা বলে ফেললাম, কারণ এমন ফেরেশতার মত একটা বাচ্চা আমার সামনে থেকে সুযোগ পাইলেই আমি তারে পাছায় ইঞ্জেকশান দিব এই ধারণা নিয়ে যাবে এটা কেন জানি মেনে নিতে পারছিলাম না...."

Wednesday, January 4, 2017

এশিয়া_মহাদেশ
......
প্রশ্ন: এশিয়ার আয়তন কত ?
-৩,১০,২৭,২৩০ বর্গ কি.মি.।
.
প্রশ্ন: এশিয়া আয়তন পৃথিবীর মোট ভূমির কত
অংশ ?
-৩০ % ।
.
প্রশ্ন: এশিয়া পৃথিবীর মোট আয়তনের কত ?
-প্রায় এক তৃতীয়াংশ ।
.
প্রশ্ন: এশিয়ার বৃহত্তম দীপ কোনটি ?
-বোর্নিও (৭,৪৬,৫৪৬ বর্গ কি.মি.) ।
.
প্রশ্ন: আয়তনের দিক দিয়ে এশিয়ার বৃহত্তম
দেশ কোনটি ?
-গণ চীন (৯৩,২৬,৪১০ বর্গ কি.মি.) ।
.
প্রশ্ন: আয়তনের দিক দিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে
ছোট দেশ কোনটি ?
-মালদ্বীপ (৩০০ বর্গ কি.মি.) ।
.
প্রশ্ন: লোক সংখ্যার দিক দিয়ে এশিয়ার
বৃহত্তম দেশ কোনটি ?
-গণচীন ।
.
প্রশ্ন: পৃথিবীর কত ভাগ মানুষ এশিয়ায় বাস
করে ?
-৬০.৬ ভাগ ।
.
প্রশ্ন: এশিয়ার বৃহত্তম নদী কোনটি ?
-ইয়াংসিকিয়াং (৫৪৯৪ কি.মি.) ।
.
প্রশ্ন: এশিয়ার সবচেয়ে খরস্রোতা নদী
কোনটি ?
-সালউইন ।
এক লোক ১৩ তলা বিল্ডিং- এ কাজ করতেছিল। এমন সময় একজন দৌড়ে এসে খবর দিল- জামাল, জামাল তোমার মেয়ে ফাতিমা মারা গেছে।

লোকটা চিৎকার করে উঠলো- না এ হতে পারে না। বলে ১৩ তলা থেকে লাফ দিলো।

যখন ১০ তলা পর্যন্ত আসলো তখন মনে পড়লো আরে আমার তো ফাতিমা নামে কোন মেয়ে নাই।

যখন ৫ তলা পর্যন্ত আসলো তখন মনে পড়লো আরে আমার তো বিয়েই হয় নাই।

যখন মাটিতে পড়বে তার আগ মূহূর্তে মনে পড়লো- শালা আমার নামই তো জামাল না!!
দেশে ফেরার কিছুদিন পর বাবা ও মা বললেন,"বিয়েটা এবার করে ফেলো!"
আমি বললাম,"তোমরা যা ভালো মনে করো,তাই করো!"
,
ব্যস, পরিবার থেকে মেয়ে দেখা শুরু হয়ে গেলো!  অবশেষে মেয়ে পেয়েও গেলো।
নম্র,ভদ্র,শিক্ষিত ও ভালো পরিবারের মেয়ে।
মোটামুটি দু পরিবার থেকে কথা পাকা পোক্ত হয়ে গেলো। তারপর আমাকে বলা হলো যে,আমি যেনো একদিন সময় করে দেখে আসি!
,
একদিন সময় করে কনের বাড়িতে হুট করেই আমি সহ কিছু বন্ধু বান্ধব চলে গেলাম। কনের মায়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর মেয়েটি (কনে) ওর বান্ধবি নিয়ে বাসায় ঢুকেই আমাদের দেখে ভেবাচেকা খেয়ে গেলো। যেহেতু মেয়ে আমাকে আগে দেখেনি। ক্ষীণ কালের জন্য আমি স্তব্ধ। স্তব্ধ এই জন্য যে মেয়েটি আসলেই রুপবতী। শুধু রুপবতী নয়,চেহারার মধ্যে আলাদা একটা মায়াটান রয়েছে যা আমাকে মুগ্ধ করে ফেলে।
মেয়েটি চলে গেলো। আমাদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারলো যে আমিই সেই ছেলে যার সাথে সে তার সারাটা জীবন কাটানোর জন্য অঙ্গীকার বদ্ধ হবে।
আমি বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফিরে এলুম।
আমার বন্ধুদেরও পছন্দ হয়েছে।
রাতে মেয়েকে ফোন দিলাম___
__হ্যালো (আমি)
__জি,কেমন আছেন?(মেয়ে)
__ভালোই,আপনি?
__জি ভালো।কি করেন?
__ভাবছি! :)
__কি ভাবছেন?
__আপনাকে ;)
__(উত্তর নেই)
__আচ্ছা,আমাকে কি আপনার পছন্দ হয়েছে? :(
__অপছন্দ হওয়ার কিছু আছে কি? :)
__তবুও :o
__বলতে পারবো নাহ! :/
__আচ্ছা বলতে হবে না! :/ কাল কি দেখা করা যাবে?
__জরুরি কিছু? O.o
__না,তবে আসলে....
__আচ্ছা আসবো। :)
,
আমি জায়গা বলে দিলাম! তারপর প্লান করলাম কি করা যায়!
পরেরদিন সে পার্কে এসে বসে রয়েছে। আমি ইচ্ছে করেই দেরী করে আসলাম।
আমাকে দেখে সে উঠে দাঁড়ালো! সে কিছু বলার আগেই, আমি হাটু গেড়ে বসে; ফুল হাতে নিয়ে বললাম," I Love You,Will you merry me and trust me for whole life? Promise that, I'll stay and pass my life with you! I'm not rich,But I've a rich mind where you'll be a queen!! Will You Please?"
সে কিছু বলতে পারছিলো না! জাস্ট তার চোখ দিয়ে পানি পরছিল আর মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উত্তর দিলো।
সে আর বিলম্ব দেরী না করে আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে গেলো।
ফোন আসল___
__আপনি এত পাগল কেনো? :'( (সে)
__পাগলের কি হলো? :) (আমি)
__আপনার সাথে তো আমার বিয়ে হবেই। সুতরাং আমাকে পাগলী বানানোর দরকার কি? ;)
__You Know What,"Successful relation don't Just happen.They take time, patience and two people who truly want to be together.
__আচ্ছা বুঝলাম
__শোনো,পরশু তো বিয়ে। আমি চাই সকাল ১১ টায় আমার সাথে তুমি দেখা করবা।আর হ্যা কোনো কিন্তু চলবে না। আমি সব মেনেজ করবো ;)
__দুপুরবেলা বিয়ে আর সকাল বেলা আমি আসবো কিভাবে?
__বললাম তো কোনো কিন্তু চলবে না :/
__আচ্ছা ঠিক আছে।
,
বিয়ের দিন।বিয়ের তোড়জোড় চলছে।
এদিকে কথা অনুযায়ী সে সকাল বেলা চলে আসলো দেখা করতে। আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে ৫/৭ টা বাইক নিয়ে আসলাম। তাকে আমার বাইকে বসিয়ে সোজা কোর্টে চলে গেলাম। সে তখনো বুঝতে পারছিলো না কি হতে চলছে! :)
আগে থেকেই সব কিছু ঠিক করা ছিলো :)
সো আর কষ্ট করতে হলো না। কোর্টে বিয়ে হলো। সে বুঝতে পেরেছিল আমি পাগলটাকে দমানো যাবে না! :/
দুপুর ২ টার দিকে তাঁর বাসায় গেলাম। সবাই দেখে অবাক। যাদের বিয়ে একটু পরে আর তারা কিনা এ কান্ড করলো।
সবাই বিষয়টা জানার পর হাসিতে ফেটে পড়লো :)
ওদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে তাকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসলাম।
বিয়ের পরবর্তী ৭ দিন সে তাদের বাসায় যায়নি ♥♥
আমাদের সমাজের রীতি অনুযায়ী বিয়ের পরদিন কনেকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে যেতে হয়! কিন্তু আমি সেটা করিনি :)
সেও যেতে চাইনি। "ভালোবাসা বুঝি একেই বলে!"
,
তাকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরালাম।
শপিং, চাইনিজ, বারবিকিউ সবই করলাম।  আমাদের যেটা বিয়ের আগে করার কথা ছিলো তা আমরা পরে করলাম। এতে কি ভালোবাসা কমেছে?  আদৌ না।বরং বেড়েছে।
,
আমি দেশে থাকবো আর ৩ মাস।  তাই বাবার অফিসে বসে পড়লাম। বাবাও খুশি হলেন :)
একদিন অফিস থেকে বাসায়
ফিরতে অনেক রাত হলো!
বাসায় ফিরে দেখি বউ আমার রাগে এটম।
__কি গো,খাবার দাও। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
__কারো ইচ্ছে হলে নিজেই নিয়ে খাক
(সে)
__ওরে বাবা,এত রাগ!!
__আমার কি রাগ করার অধিকার আছে
__আরে বাবা অফিসে অনেক কাজ ছিল।
__জানিত এটাই বলবে
,
আমি খেলুম না। তাঁর পাশে গিয়ে শুলুম।
__আরে এত রাগ করিও না
__করিনি
__শোন, আজ অফিসের কাজের ফাকে একটা
কবিতা লিখেছি তোমাকে নিয়ে
__(লাফ দিয়ে উঠে) কই,দেখি দেখি!!
__আরে বাবা,এখন না! যখন রাতের সব কিছু নিরব
হয়ে যাবে,কেবল তুমি আর আমি সজাগ থাকবো,
তখন ই সেটা তোমায় পড়ে শুনাবো! আমি চাইনা,
আমার ভালোবাসায় অন্য কারো ভাগ বসুক।
__তুমি এমন কেনো , আমাকে এত
ভালোবাসো কেনো? কখনো আমাকে
রেখে চলে যাবা না'ত?(!)
__নারে পাগলি,আমি শুধু তোকেই ভালোবাসি। আর
এ ভালোবাসা যদি সারাটা জীবন বয়ে বেড়াতে না
পারি তবে তো মরেই যাবো রে
,
বউ আমার বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে ফুপিয়ে
কাঁদছে আমি কিছু বলছি না। জানি পাগলিকে থামানো যাবে না।
পুরো পৃথিবী নিরব,কেবল আমরা দু জন
ভালোবাসার কাঙাল গভীরে তলিয়ে যাচ্ছি। ♥♥♥